শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩ সিটি নিবার্চনের মাঠ উত্তপ্ত হচ্ছে: সুজন

যাযাদি রিপোটর্
  ২৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

উৎসবমুখর পরিবেশে নিবার্চনী প্রচারণা শুরু হলেও নিবার্চনের মাঠ ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ উঠছে। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়গুলোও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। এসব আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে নিবার্চন কমিশনের কোনো কাযর্কর তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ফলে নিবার্চন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। তিন সিটি করপোরেশনের নিবার্চনী পরিবেশ নিয়ে এমন মত দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রাথীের্দর তথ্য উপস্থাপন করে সুজন।

লিখিত বক্তব্যে সুজন জানায়, প্রথম থেকেই মামলা শুরু হয়েছে রাজশাহীতে। এখন সিলেটেও মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি শুরু হয়েছে। সিলেটে নিবার্চনী ক্যাম্পে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বরিশালে নাশকতার আশঙ্কা করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। এসব ঘটনা ভোটারদের

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তারা অনেক ধরনের সন্দেহের দোলাচলেও রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সুজনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। এতে বলা হয়, একজন সিটি মেয়র ও কয়েকজন সাংসদকে আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচারণায় নামতে দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিভিল সাজর্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সরকারি কমর্কতার্-কমর্চারীরা আচরণবিধি অমান্য করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মিছিল নিষিদ্ধ হলেও তিন সিটিতেই মিছিল করছেন প্রাথীর্ ও সমথের্করা। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নিবার্চন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব নয় বলে মনে করে সুজন। তাই সরকারের ইতিবাচক সাড়া না পেলে নিবার্চন আয়োজনে কমিশনকে অপারগতা প্রকাশের পরামশর্ও দিয়েছে সুজন।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখছি না। আচরণবিধি ভঙ্গ করে অনেকে প্রচারণায় নামছে। খুলনা-গাজীপুরে নিয়ন্ত্রিত নিবার্চন হয়েছে, এতে নিবার্চন কমিশনের ওপর আস্থা কমেছে।’

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাগুরা মডেলের পরে খুলনা মডেল। নতুন যে মডেলের দিকে যাচ্ছে, তা কি ভয়ের মডেল নাকি উদাসীনতার মডেল, তা ব্যাখ্যা করা যাচ্ছেÑএটা ব্যাখ্যার অযোগ্য (আনএক্সপ্লেনেবল), একধরনের বিশেষ প্রবণতা। জাতীয় নিবার্চনে এ ধারাবাহিকতা থাকলে তা খুব ভয়ের ব্যাপার। এ ছাড়া প্রাথীের্দর হলফনামায় দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

প্রাথীের্দর তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, মেয়রপ্রাথীের্দর মধ্যে রাজশাহীর পঁাচজনের দুজন স্নাতকোত্তর ও তিনজন স্নাতক, বরিশালে সাতজনের একজন স্নাতকোত্তর, চারজন স্নাতক, একজনের এসএসসি ও একজন স্বশিক্ষিত, সিলেটে সাতজনের মধ্যে একজন স্নাতকোত্তর, দুজন স্নাতক, একজন এইচএসসি, একজন এসএসসি ও দুজন স্বশিক্ষিত।

রাজশাহীতে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পযর্ন্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগের বতর্মান মেয়রপ্রাথীর্ এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ওই সময়ে তার আয় বেড়েছে ২৩০৮.১০%। কিন্তু পরের পঁাচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৩.২৯ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পযর্ন্ত মেয়র ছিলেন বিএনপির বতর্মান মেয়রপ্রাথীর্ মোসাদ্দেক হোসেন। ওই সময়ে তার আয় বেড়েছে ১৫১৮.৩৬ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পযর্ন্ত সময়ে সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্ বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের আয় বেড়েছে ৬০.৭৩ %। ওই সময়ের মেয়র ও বতর্মান বিএনপির প্রাথীর্ আরিফুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৪৮ %।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<5158 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1