ধানের শীষের প্রচারকালে আটক দুই কর্মী মুক্তির দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ আরিফুল হক চৌধুরী মহানগর উপপুলিশ কমিশনার কাযার্লয়ের সামনে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেছেন। আটক কমীর্দের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪টা পযর্ন্ত দলের অন্য নেতাকমীের্দর নিয়ে তিনি এ কমর্সূচি পালন করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) আজবাহার আলী শেখ জানান, ওসমানীনগর থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া থেকে রাসেল আহমদ এবং সুমন আহমদ নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কোনো মামলা-ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমার কমীের্দর ধরপাকড় করছে। সিলেটে এই ধরনের কমর্কাÐ সহ্য করা হবে না। আমরা এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।’ এর আগে গত ১২ জুলাই মধ্যরাতে এক কর্মী আটকের অভিযোগে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফঁাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন সিলেট আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থানের পর সে রাতে আটক কমীের্ক ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু শনিবার আবার মহানগর পুলিশের উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কাযার্লয়ের সামনে দলবল নিয়ে বসে পড়েন আরিফুল হক। এবার ব্যথর্ হয়েই ফিরতে হয় আরিফুলকে। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়নি পুলিশ। তাদের সুনিদির্ষ্ট মামলার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য। ফলে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান তুলে নিয়ে নেতাদের নিয়ে বাসায় ফিরে যান আরিফুল হক। আদালতের মাধ্যমে কমীর্দের ছাড়িয়ে আনবেন বলেও এ সময় ঘোষণা দেন তিনি। পুলিশ কাযার্লয়ের সামনে আরিফুল হকের এভাবে বসে পড়াকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করে সিসিক নিবার্চনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘তিনি জনগণের সহানুভ‚তি আদায়ের জন্য একের পর এক নাটক করে চলছেন। আমি তাকে নাটক করা বাদ দিয়ে জনগণের মন জয়ের চেষ্টায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাব।’ আগামী ৩০ জুলাই সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে নিবার্চন হওয়ার কথা রয়েছে।