শুধু উচ্ছেদ নয়, নদী দখলদারদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মানুষের চোখে দখল করা যেমন ফৌজদারি অপরাধী ঠিক তেমনি নদীর পাড় দখল করাও ফৌজদারি অপরাধ। নদী দখলদারদের ফৌজদারি শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বাপার সহ-সভাপতি ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ একথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন পেশ করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরিফ জামিল।
আবুল মকসুদ বলেন, সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে। নদী একেবারে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো দখল হচ্ছে। মূল বিষয় হলো ২০০৯ সালে হাইকোর্ট থেকে একটি রায় দেয়া হয়-নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। কোনো সীমানা নির্ধারণ না করে, কোনটা দখল হয়েছে আর কোনটা বেদখল নিয়েছে বোঝা যায় না। কেউ যদি দাবি করে, আমার জায়গা কিভাবে প্রমাণ করবো। সেজন্য সহজ কাজ হলো নদীর সীমানা নির্ধারণ করা। হাইকোর্ট থেকে রায় হলো সীমানা নির্ধারণের জন্য। কিন্তু শেষ সীমানা পিলারের দায়িত্ব দেয় ডিসির কাছে। আমরা দেখেছি যথাযথভাবে সীমানা পিলার বসানো হয়নি। দখলদাররা ভেঙে ফেলেছে।
তিনি বলেন, সরকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। অভিযান যেন চলমান থাকে। এর আগেও অনেকবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। আমাদের দাবি উচ্ছেদ অভিযান যেন পুরোদমে চলে। নদীর পাড় পূর্ণ উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার, কিছুদিন পরে আবার যেন দখল না হয়। যারা নদীর পাড় দখল করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরকারের এই উচ্ছেদ অভিযান যেন মাঝপথে গিয়ে থেমে না যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাপা্থর সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপার নির্বাহী কমিটির সদস্য শারমীন মুরশিদ প্রমুখ।