শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিমেন্ট কেনার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ

যাযাদি রিপোটর্
  ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
শাহ সিমেন্ট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি অপহরণের ঘটনায় পঁাচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবিটি সোমবার তোলা Ñযাযাদি

শাহ সিমেন্ট কোম্পানির অপহৃত বিক্রয় প্রতিনিধি আ. হক রাজকে (৬১) রোববার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নিমার্ণ প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পঁাচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিং করে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফরিদউদ্দিন এসব তথ্য জানান। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলোÑ সবুজ (৪২), বশির (৩০), ফারুক (৩৬), লাভলু (৪০) ও জালাল মিয়া (৩৬)। ব্রিফিংয়ে ফরিদউদ্দিন বলেন, ১২ জুলাই একটি নিমার্ণ প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে আশা নামে একটি মেয়ে আ. হক রাজকে ফোন করে। ফোনে তাকে গেন্ডারিয়া এলাকার সোনালী নূপুর কমিউনিটি সেন্টারে আসতে বলা হয়। সেখান থেকে নিমার্ণ প্রকল্পের লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই বাড়িতে আসার পর গ্রেপ্তারকৃত পঁাচ আসামি রাজকে আটকে রাখে। সেখানে তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনতে চাপ দিতে থাকে। দুই দিন আটকে রাখার পর রাজকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় আসামি জালাল মিয়ার বাড়িতে আনা হয়। সেখানেও মুক্তিপণের জন্য তাকে মারধর করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে রোববার রাত ৯টার দিকে জালাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাজকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত পঁাচজনের মধ্যে বশির, ফারুক ও জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তিনজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গীর আরেকটি এলাকা থেকে সবুজ ও লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আশা নামে ওই মেয়েকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ডিসি ফরিদউদ্দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে