সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনকে ধষের্ণর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত হাসপাতালের ইন্টানর্ চিকিৎসক মাহতাব মাহবুব মাহিমকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে মাহিমকে আটক করা হয়। এর আগে রোববার রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়াডের্ ধষের্ণর ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইন্টানর্ চিকিৎসক মাহতাব মাহবুব মাহিম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোখলেসুর রহমানের ছেলে। ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টানর্ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছে মাহিম।
নিযাির্তত কিশোরী নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। সে তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিল। পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরীতেই থাকে ওই স্কুলছাত্রী।
স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষাথীর্। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়াডের্র ১৭ নম্বর বেডে ভতির্ ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি।
রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিল না। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ইন্টানর্ চিকিৎসক মাহতাব মাহবুব মাহিম ওই ছাত্রীকে
একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধষর্ণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর ধষের্ণর ঘটনা জানায় স্কুলছাত্রী।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে ইন্টানর্ চিকিৎসক মাহতাব মাহবুব মাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। দুপুর দেড়টা পযর্ন্ত বৈঠক চলে। সবশেষে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় মাহিমকে পুলিশের কাছে সোপদর্ করে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বলেন, ‘ধষের্ণর অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ইন্টানর্ চিকিৎসকের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মাহিম।’
তিনি বলেন, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহিমকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিকালে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এ ছাড়া সব ওয়াডের্ সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়াডের্র ফুটেজ সংগ্রহ করতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর বলেন, ইন্টানর্ চিকিৎসক মাহিমকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।