শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এপ্রিলে নতুন ভবনে যেতে পারছে না বিজিএমইএ

যাযাদি রিপোটর্
  ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বিজিএমইএ ভবন Ñফাইল ছবি

চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর উত্তরায় স্থাপিত তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর নতুন ভবনে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ১২ এপ্রিল পযর্ন্ত সুপ্রিম কোটর্ সময় দিলেও এই সময়ে হাতিরঝিল থেকে সরতে পারছে না বিজিএমইএ।

বাংলাদেশ গামের্ন্ট ম্যানুফেকচারাসর্ অ্যান্ড এক্সপোটার্সর্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোটের্র আদেশের প্রতি সম্মান রেখে ভবন নিমার্ণ শুরু করেছি। তবে নিমার্ণ কাজে একটু সময় বেশি লাগতে পারে। তাছাড়া সময়সীমার মাত্র ১০ দিন পর অথার্ৎ ২১ এপ্রিল বতর্মান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ মুহূতের্ ভবন স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, উত্তরায় বরাদ্দ পাওয়া জায়গায় নতুন ভবনের কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ১৩ তলা ভবনের ৬৫ শতাংশ ফ্লোর স্পেস বিক্রি শেষ হয়েছে। বাকি ৩৫ শতাংশ বিক্রির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

‘ভবনের কাজ দ্রæত এগিয়ে চললেও বতর্মান ভবন ছাড়ার আগে নতুন ভবন ব্যবহার উপযোগী হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নতুন ভবনের কাজ কতটুকু অগ্রগতি হয়, তার ওপর নিভর্র করবে। আমরা এখান থেকে চলে যাব এটা নিশ্চিত। তবে আমরা আরও কিছুদিন এ ভবনে থাকলে দেশের তেমন কোনো ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না।’

এ অবস্থায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের হাতে আর দুই-তিন মাস সময় আছে। সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনের বিষয়ে এই মুহূতের্ কিছু বলতে পারছি না।’

তিনি বলেন, স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব ভবনে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আর ভাড়া অফিসে যাওয়ার মতো আমাদের সাধ্য নেই। কারণ সাড়ে ৪০০ স্টাফ নিয়ে ভাড়া ভবনে যাওয়া সম্ভব না। তাই একটু সময় বেশি লাগলেও নিজস্ব ভবনেই যাব। তবে নতুন ভবন সম্পূণর্ নিমাের্ণর আগে বতর্মান ভবন ভাঙা হলে রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আলাপচারিতায় বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কারওয়ান বাজারে বতর্মান ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তাদের নতুন ভবনে স্থান দেওয়া হচ্ছে। নিমাের্ণ সহযোগিতা হিসেবে তাদের কাছে অগ্রিম কিস্তি নেয়া হয়েছে। প্রতি বগর্ফুটের দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এই দরের সঙ্গে বতর্মান ভবনের বিক্রি করা মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তিনটি ব্যাংক ছাড়া ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তারা সবাই বিজিএমইএ-এর সদস্য।

জানা গেছে, উত্তরায় নিমার্ণাধীন নতুন ভবনের তৃতীয়তলা পযর্ন্ত কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ১৭নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি বাজার মূল্যের অধের্ক মূল্যে বিজিএমইএ-কে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। নতুন ভবনে আন্তজাির্তকমানের সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে।

এর মধ্যে পোশাক খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রদশর্নী কেন্দ্র, ক্রেতা এবং বিদেশি ক‚টনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক উপযোগী হল, সুইমিং পুল ও অ্যাপারেল ক্লাব উল্লেখযোগ্য। নতুন ভবনটি কারওয়ান বাজারের বতর্মান ভবনের তুলনায় আকারে দ্বিগুণ বড়।

এদিকে বিজিএমইর পক্ষ থেকে ফ্লোর স্পেস ক্রেতাদের ইজারা দেওয়া নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (রাজউক) সঙ্গে চলে আসা বিরোধ শেষ পযর্ন্ত মিটেছে। ইজারা দলিলের সংশ্লিষ্ট ধারাটি বাতিল করেছে রাজউক। ফলে গত মাস থেকে ফ্লোর বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে বিজিএমইএ।

কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবন নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোটের্র এক আইনজীবী। পরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) এ বিষয়ে রুল জারি করে হাইকোটর্।

এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোটর্ রায় দেন। রায়ে ভবনটি ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে রাজউককে নিদের্শ দেয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৯ মাচর্ হাইকোটের্র পূণার্ঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে আপিল করার অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের পূণার্ঙ্গ রায় ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।

এ রায়ের কপি পাওয়ার পর ৮ ডিসেম্বর বিজিএমইএ রিভিউ আবেদন দাখিল করে। ২০১৭ সালের ৫ মাচর্ এ রিভিউ আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর ভবন সরাতে তিনবছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ।

এ আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালে আপিল বিভাগ ৬ মাস সময় দিয়েছিল বিজিএমইএ-কে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<33420 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1