আজকের যায়যায়দিন

ছেলেকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন কৃষক ছমর আলী। পথে বাবা-ছেলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুবৃর্ত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছমর আলীর (৬০)। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলে নূর হোসেন (৩৩)। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাÐ ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাঙালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ছমর আলী ওই ইউনিয়নের বাঙালপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। রোববার সকালে ছমর আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মগের্ পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছেলে নূর হোসেনকে নিয়ে গতকাল রাতে ছমর আলী একই ইউনিয়নের কামালেরবাত্তী গ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাঙালপাড়া গ্রামের দশানী নদীর পাড়ে পেঁৗছলে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা দুবৃর্ত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা চালায়। দুবৃর্ত্তরা তাদের দু’জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং লাঠি দিয়ে প্রচÐ মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই ছমর আলীর মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তার ছেলে নূর হোসেনকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভতির্ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছমর আলীর লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মগের্ পাঠায় পুলিশ।

১৫ দিনে ৩৬৭ মৃতু্য / এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) এ কে এম মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধারণা করা যায়, দুবৃর্ত্তরা আগে থেকেই ঘটনাস্থলে ওঁত পেতে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহত ছমর আলীর বড় ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। দ্রæত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।