আজকের যায়যায়দিন

একাদশ জাতীয় নিবার্চনকে বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তজাির্তক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোনো নিবার্চন হয়নি। এটা একটা তামাশা হয়েছে। এতে মানুষের অধিকারকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা হলো কোনোভাবে যেন হতাশার জন্ম না হয়, সেজন্য সজাগ থাকা এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত করা। জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়েই বিজয় লাভ করতে হবে।’ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় পাটির্র (জাফর) প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন মিজার্ ফখরুল। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন প্রসঙ্গে মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই নিবার্চনে যেটি হয়েছে, তা বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তজাির্তক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকে না।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা আওয়ামী লীগ কেন করলো। আমি বলব, এতে আওয়ামী লীগের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের একটি। তাদের গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। কিন্তু এই নিবার্চনে আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দঁাড়িয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের লোকেরাই বলছে, আমার ভোট আমি দিতে পারলাম না কেন।’ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের জুডিশিয়াল সেক্টর থেকে শুরু করে আনসার পযর্ন্ত এবারের নিবার্চনে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় যাওয়ার মূল বিষয় হচ্ছে দেশকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে আসা।’ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পাটির্র (জাফর) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার ও লেবার পাটির্র চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অনেকে।