মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনশনে বসে কমর্র্ীকে ছাড়ালেন আরিফুল

সিলেট অফিস
  ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
দলীয় কমীের্ক ছাড়িয়ে নিতে এভাবেই সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফঁাড়ির সামনে বুধবার রাতে অনশনে বসেন বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ আরিফুল হক চৌধুরী Ñযাযাদি

সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ধানের শীষের কমীের্দর মারধর করে পুলিশে সোপদের্র অভিযোগে প্রায় ৩০ মিনিট রাস্তায় অনশন করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার রাত ১২টা থেকে নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফঁাড়ির সামনে অনশন করেন আরিফুল। আটক কমীর্রা ছাড়া পাওয়ার পর আরিফুল অনশন ভেঙে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

মধ্য রাতে মেয়রপ্রাথীর্র অনশনের খবরে নগরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকমীর্সহ নগরের সাধারণ মানুষও সেখানে জড়ো হন। পুলিশের কাছ থেকে কমীের্দর ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরিফুল বলেন, ‘আমি শুরু থেকে বলে আসছি যে, আমার কমীের্দর অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। এটি তেমনই একটি ঘটনা।’ সে সময় তিনি দুই কমীের্ক পেটানো ছাত্রলীগকমীর্ ও জড়িত পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত ১২টায় নগরের বন্দরবাজার হাসান মাকের্ট এলাকায় নিবার্চনী প্রচারের জন্য আরিফুল হক চৌধুরীর পোস্টার সঁাটানোর কাজ করছিলেন দুইজন কমীর্। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্র পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ এসে লোকমান আহমদ নামের একজনকে আটক করে বন্দরবাজার পুলিশ ফঁাড়িতে নিয়ে যায়।

লোকমানের সঙ্গে পোস্টার সঁাটানোর কাজ করছিলেন আরেক কমীর্ কেরামত আলী। তিনি জানান, হাসান মাকেের্টর সামনে তারা দুইজন আরিফুল হক চৌধুরীর পোস্টার সঁাটানোর কাজ করছিলেন। এ সময় তিনজন যুবক ছাত্রলীগের কমীর্ পরিচয় দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্র পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ তোলেন। তারা বিষয়টি অস্বীকার করলে বাগ্?বিতÐার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ওই তিনজন লোকমানকে মারধর করে পাশের বন্দরবাজার পুলিশ ফঁাড়িতে নিয়ে গেলে পুলিশ লোকমানকে আটক করে। সেখান থেকে কেরামত ঘটনাটি মেয়র আরিফুল হককে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং বন্দরবাজার ফঁাড়ির সামনে একটি চেয়ার নিয়ে অনশন শুরু করেন। এ অবস্থায় পুলিশ ২০ মিনিট পরই আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়। তখন আরিফুল ওই কমীর্সহ কেরামতকে নিজের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। আরিফুল জানান, দুই কমীের্ক ছাত্রলীগ ও পুলিশ মারধর করেছে।

বন্দরবাজার ফঁাড়ি পুলিশ সিলেট নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার অধীন। বুধবার রাত ১টার দিকে যোগাযোগ করলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন কিছু জানেন না বলে জানান। তবে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিভ‚তি ভ‚ষণ ব্যানাজির্ বলেছেন, ‘পোস্টার সঁাটানো নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ একজনকে আটক করেছিল। পরে অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<3235 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1