শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয়-পরাজয়ে ‘ফ্যাক্টর’ দু’ক‚ল হারানো দুই চেয়ারম্যান

ময়মনসিংহ ৬-৭
যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছিলেন। কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকায় জেলা রিটানির্ং কমর্কতার্ তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন। নিবার্চন কমিশনে আবেদন করে তারা প্রাথির্তা ফিরে পান।

এরপর দলীয় মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মনোনীত একক প্রাথীর্ হিসেবে ময়মনসিংহ-৩ ও ময়মনসিংহ-৭ আসনে তাদের নাম ঘোষণা করেন। উচ্ছ¡াস-উল্লাস বইতে শুরু করে নিজেদের অনুসারী নেতা-কমীর্-সমথর্কদের মাঝে। কিন্তু সেই উচ্ছ¡াসের রেশ টেকেনি বেশিক্ষণ।

একদিনের ব্যবধানেই মনোনয়ন হারান গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ ও ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন।

দুই ক‚ল হারানো এই উপজেলা চেয়ারম্যানরাই আবার দলীয় প্রাথীর্র জয়-পরাজয় নিধার্রণে ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে একক প্রাথীর্ হিসেবে প্রথমে দলীয় মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের নাম ঘোষণা করেন।

পরের দিনই সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ২০০৮ সালের নিবার্চনে আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা প্রকৌশলী ইকবাল হোসাইনকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) তার নামের পাশেই ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) থেকেই প্রকৌশলী ইকবাল নিবার্চনী প্রচারণা শুরু করলেও ভোটের মাঠে নীরব রয়েছেন আহাম্মদ তায়েবুর রহমান। দলীয় নেতাকমীর্রা বলছেন, আসনটিতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামতে হবে হিরণকেও। এক্ষেত্রে প্রকৌশলী ইকবালের প্রধান কাজ হবে হিরণের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছা।

তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

গৌরীপুরের মতো একই রকম ঘটনার অবতারণা হয় ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনেও। দলটির হেভিওয়েট প্রাথীর্ হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন প্রথম মনোনয়ন বঞ্চিত হন।

তার জায়গায় দলীয় একক মনোনীত প্রাথীর্ হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনকে।

ডা. লিটনের হাত ধরেই ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন জয়নাল আবেদিন। শুরু থেকে দুজনের মধ্যে গভীর সখ্য থাকলেও জয়নাল উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়। ওই সময় থেকেই জয়নাল আওয়াজ দিচ্ছিলেন তিনি দলীয় মনোনয়ন নেবেন।

সূত্র মতে, উপজেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকমীর্র প্রত্যাশা ছিল ডা. লিটনের হাতেই থাকবে ধানের শীষ। কারণ ত্রিশালে বিএনপিকে শক্ত ভিতের ওপর দঁাড় করানোর কারিশমা দেখিয়েছেন লিটনই।

কিন্তু অবাক করা ঘটনায় রাতারাতি দৃশ্যপট বদলে যায়। আবার ডা. লিটন পুনরায় মনোনীত প্রাথীর্ হিসেবে বহাল হলে ‘বিদ্রোহ’ দেখানোর ইঙ্গিত দেন জয়নাল সমথর্করা।

কিন্তু দলের বেশির ভাগ নেতাকমীর্র ডা. লিটনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কারণে ক্ষোভ-হতাশার সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।

তবে দলটির তৃণমূল নেতাকমীের্দর ভাষ্য হচ্ছে- আসনটিতে নৌকাকে পরাজিত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।

খানিকটা ভুল করলেই ২০০৮ সালের মতোই ভোটের রায় যাবে নৌকার অনুক‚লে। এসব ক্ষেত্রে দলীয় মনোনীত প্রাথীর্ ডা. লিটনকেই উদ্যোগী ভূমিকায় অবতীণর্ হতে হবে।

এ বিষয়ে মনোনয়ন হারানো উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাগ গোস্বা যাই থাক দল যেহেতু করি দলের প্রাথীর্র জন্যই কাজ করব। দু-একদিনের মধ্যেই আমি ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মাঠে নামব।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<27003 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1