মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজরাইল না আসা পযর্ন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না

যাযাদি রিপোটর্
  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘অবসর মানেই বিদায় না। আজরাইল না আসা পযর্ন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না।’ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত সংবধর্না অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মুহিত বলেন, ‘হ্যঁা আমি অবসরে যাচ্ছি, কিন্তু অবসর মানেই বিদায় না। রেগুলার রুটিন মাফিক কাজ হয়তো থাকবে না। তবে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আজরাইল না আসা পযর্ন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না।’ এ সময় অথর্মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এবারও দারিদ্র্য বিমোচন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে। আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনের ইশতেহারে আপনারা বিষয়টি দেখতে পাবেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মুহিত বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়ন করেছি তার মূলে রয়েছে নেতৃত্বের গুণ। আমাদের নেত্রী শুধু আমাদের নেতা নন তিনি বিশ্বের শীষর্ পযাের্য়র নেতৃত্বের মধ্যে আছেন।’ অথর্মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরে বিএসইসি পুনঃগঠন করা হয়। যে কমিশনের কয়েক বছর কেটেছে সংস্কারের মধ্যে। এর মাধ্যমে কমিশন শেয়ারবাজারের ভিত্তি মজবুত করেছে। আর এখন শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কমিশন দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রাখছে। যে কারণে বতর্মান কমিশনের ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অথর্মন্ত্রী। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিএসইসির বতর্মান কমিশন শেয়ারবাজারকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অথর্মন্ত্রী। বিশেষ করে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) কাজ ভালোভাবে হচ্ছে বলে জানান তিনি। অথর্মন্ত্রী বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে দুইবার ধস হয়েছে। যার প্রতিবারই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যা এই সরকারের জন্য সুখকর ছিল না। বরং কলঙ্কজনক হচ্ছিল। যা রোধে বিএসইসির কমিশনকে নতুন করে সাজানো হয়। এবং ওই কমিশন ভালোভাবেই সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। আর শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিএসইসি এর ভ‚মিকার কারণে সত্যিকার পুঁজিবাজার গড়ে উঠেছে। দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অথর্মন্ত্রীর ভ‚মিকা অনস্বীকাযর্ বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার এখন স্থিতিশীল এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অথর্মন্ত্রীর। তার নিদের্শনায় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে। ২০১৯ সাল শেয়ারবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তাই তিনি শেয়ারবাজারে সবাইকে আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন। শেয়ারবাজারের আইনগত ভিত্তি ও কাঠামো তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তার মতে এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারের ভিত্তি মজবুত হয়েছে। এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্মল ক্যাপ মাকের্ট ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট হাউজ গঠন করা হচ্ছে। সংবধর্না অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আশাদুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে