দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেটবান্ধব মোবাইল ফোন আছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ। বেসরকারি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), মোবাইল ফোন সেবাদাতা গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংকের শীষর্ প্রতিনিধি এবং সংবাদকমীের্দর সামনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন লানর্ এশিয়ার প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ হিলানী গালপায়া।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর জরিপটি করা হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। বাংলাদেশসহ আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকার ১৮টি দেশে একই গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় জানিয়ে লানর্ এশিয়ার প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ বলেন, তাদের জরিপের তথ্যগুলো গেøাবাল সাউথে (উন্নয়নশীল রাষ্ট্র) মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে নিভুর্ল তথ্যের ডেটাবেজ।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং ব্যবহারকারী সম্পকের্ সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের গ্রহণযোগ্য পন্থা হচ্ছে এর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। এই গবেষণায় আমরা সেই কাজটিই করেছি।’
বাংলাদেশে চালানো জরিপের ফলাফল সম্পকের্ লানর্ এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মাত্র ১৩ শতাংশ বাংলাদেশি নাগরিক ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে। তাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশের একটি করে ইন্টারনেটবান্ধব ডিভাইস রয়েছে।’
তবে সরকারি সংস্থা বিটিআরসির তথ্যমতে, ২০১৮ সালের আগস্ট পযর্ন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি পঁাচ লাখ, যেটা মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬.৫৭ শতাংশ।
এই গবেষণায় দেশের ৪০টি জেলার ১০০টি ওয়াডর্ ও গ্রামে দুই হাজার পরিবার এবং ব্যক্তির ওপর সমীক্ষা চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, গবেষণা পদ্ধতিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেটা উদ্দিষ্ট (১৫-৬৫ বছর বয়সী) জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ প্রতিনিধিত্বমূলক এবং এতে সম্ভাব্য ত্রæটির মাত্র ৩.৩ শতাংশের কম-বেশি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল, গ্রামীণফোনের প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ মাইকেল ফোলি, রবির প্রধান নিবাহীর্ কমর্কতার্ মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়াসর্ অফিসার তাইমুর রহমান।