শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
জাজিরা ও নড়িয়া

নদীভাঙন রোধে ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প

গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে পঁাচ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও আট হাজার পরিবার। ভাঙনে কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
যাযাদি রিপোটর্
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় নদীভাঙন রোধে এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়াডর্ লিমিডেট। এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অথৈর্নতিক ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊধ্বর্তন কমর্কতার্রা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোডর্ বাস্তবায়নাধীন ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়ায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীষর্ক প্রকল্পের আওতায় আট দশমিক ৯০ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ, ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, ০.০৮৯ কিলোমিটার ইন্ড টামিের্নশন এবং আটটি আরসিসি পাকা ঘাট নিমার্ণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নে ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে খুলনা শিপয়াডর্ লিমিটেড।

এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনিধাির্রত আলোচনায় নদীভাঙন বিষয়ে পূবর্প্রস্তুতি না নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নদীভাঙন কবলিত এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাদ্র মাসে নদীতে পানির টান পড়ে। তাই এ সময় নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটে। আগে থেকে বোঝা যায় না কোন এলাকায় নদীভাঙন হবে। এরপরও যেসব এলাকা নদীভাঙন কবলিত বলে চিহ্নিত সেসব এলাকায় পূবর্ প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে রকম কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এমনকি নদী ভাঙন বিষয়ে তাকে কেউ জানায়নি। এ জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দঁাড়ানোর জন্য আথির্ক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দেন।

উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরে শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরে এখনও অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে পঁাচ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও আট হাজার পরিবার। ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূণর্ স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13458 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1