বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরে নয়, জানুয়ারিতে আসছে ই-পাসপোটর্

যাযাদি রিপোটর্
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ইলেকট্রনিক পাসপোটর্ (ই-পাসপোটর্) চালু করতে গত ১৯ জুলাই জামাির্নর ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের পাসপোটর্ ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। সেদিন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছবে ই-পাসপোটর্। তবে ডিসেম্বরে ই-পাসপোটর্ পাওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ইমিগেগ্রশন পাসপোটর্ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোটর্ কাযর্ক্রম চালু ও স্বয়ংক্রিয় বডার্র কন্ট্রোল (ই-গেট) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে ২০১৮-১৯ অথর্বছরের বাজেটে অথর্ বরাদ্দ না পাওয়ায় কিছুটা পেছাতে পারে ই-পাসপোটর্ কাযর্ক্রম।

এই অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অথর্) মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে ই-পাসপোটর্ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে কাজটা শুরু করা সরকারের বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বাজেট পেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এটা একটি বড় ধরনের কাজ, চার হাজার কোটি টাকার কাজ। বতর্মান অথর্বছরের বাজেট জুনে হয়েছে। সরকার যেহেততু বাজেটে ই-পাসপোটের্র বরাদ্দ রাখে নাই, তাই এখন থোক বরাদ্দ হিসেবে আমাদের টাকা দিচ্ছে। পরবতীের্ত বাকি টাকা পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে যদি দিতে না পারি তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দিতে পারব বলে আশা করছি।’

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোটর্ জামাির্ন থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোটর্ বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সেজন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। পরবতীর্ সময়ে ওই কারখানা থেকে ই-পাসপোটর্ ছাপানো অব্যাহত রাখা হবে।

অপরদিকে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাতে মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও ই-পাসপোটর্ প্রদানের ফি, দেশের মানুষের কাছে ডেলিভারির সময়কাল ইত্যাদি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘এখনও কয়েকমাস আছে। ইনিশিয়াল মানিটা পেলে আমরা কাজ শুরু করতে পারব। এছাড়া অন্যান্য কাজ চলছে। এখনও ডিসেম্বরে চালু করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

জানা গেছে, ই-পাসপোটর্ একটি বায়োমেট্রিক পাসপোটর্, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোটর্ধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোটর্ধারীর পরিচয়ের সত্যতা থাকে। ই-পাসপোটর্ চালু হলে জালিয়াতি ও পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে বলে দাবি ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তরের।

পাসপোটর্ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোটের্ ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বতর্মানে মেশিন রিডেবল পাসপোটর্ (এমআরপি) ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোটের্ স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোটের্র মেয়াদ হবে ১০ বছর।

সূত্র জানায়, ই-পাসপোটর্ প্রকল্পের পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। বতর্মানের পাসপোটের্ সরকারের যে টাকা ব্যয় হয়, সেই অনুপাতে ই-পাসপোটর্ চালু হলে পাসপোটর্ প্রতি সরকারের প্রায় ৩ ডলার করে সাশ্রয় হবে। তবে যেহেতু এই পাসপোটের্র মেয়াদ ১০ বছর। তাই ফি বাড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে শিগগিরই।

এদিকে অনেকেই শঙ্কায় আছেন, ই-পাসপোটর্ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি বাতিল হবে কি না। এ বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, কারও পাসপোটের্র মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোটর্ নিতে হবে। তবে যাদের এমআরপি রয়েছে সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12596 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1