বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তারা ভাবছে ষড়যন্ত্র করে সরকার হটাবে : কাদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
ওবায়দুল কাদের

কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যা নিয়ে একটি অশুভ চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তারা নানাভাবে উসকানী দিয়ে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করে চলেছে। ভাবছে এ থেকে সুবিধা আদায় করবে, সরকার হটিয়ে দেবে। গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। রোববার সকালে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন তিনি। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জ জোনের সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচারে সোচ্চার থেকেছে উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিনহা হত্যাকান্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন রাজনৈতিক পরিচয় অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না। অপরাধী যে দলেরই হোক, বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং তা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া বিএনপির সফলতা। তাদের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চিরাচরিত ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান, স্বাস্থ্য খাতে জেকেজি, রিজেন্ট গ্রম্নপের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চালানোর আগে সরকারকে কেউ কি বলে দিয়েছিল? না, বলে দেয়নি। সরকার নিজেই এসব অনিয়ম উদঘাটন করেছে, কোনো ধরনের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। এ সরকার জনগণের মনের ভাষা বোঝে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচারে সোচ্চার। অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। জনগণের মনের ভাষা বোঝে বলেই যে কোনো বিষয়ে দ্রম্নততম সময়ে ব্যবস্থা নেয় সরকার। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মহাসড়কের গুণগত মান নিয়ে কোনো অভিযোগ বরদাশত করা হবে না। যে সকল ঠিকাদারের কাজের গুণগত মান খারাপ এবং কাজ নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখে তাদের তালিকা করে লাইসেন্স বাতিল করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী একনেকে অনুমোদিত গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট-মোলস্নাহাট সড়কের কাজ দ্রম্নত শুরু করার নির্দেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কসমূহের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাহাত খান উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে