বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের আগে বাড়ছে না মসলার দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

গরম মসলার আন্তর্জাতিক বাজার ও বাংলাদেশে আমদানি মূল্য পর্যালোচনা করে গত ১৩ মে গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি। গত ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো গরম মসলার মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত দাম পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খুচরা বাজারে কার্যকর শুরু হয়। তবে এখনো খুচরা বাজারে আগের বর্ধিত দামেই অধিকাংশ গরম মসলা বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু মসলার দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর ঈদুল আজহার (কোরবানির ঈদ) আগে নতুন এলসি খোলার পাশাপাশি আমদানি চালান দেশে আসে। এবার বিক্রি কমে যাওয়ায় আগের পণ্য রয়ে গেছে। তাই পাইকারি গরম মসলার দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা। গত ১৩ মে গরম মসলার নির্ধারিত মূল্য তালিকা হলো- জিরা (ভারত) প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, দারুচিনি (চীন) প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, লবঙ্গ প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা, এলাচ প্রতি কেজি ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, গোলমরিচ (কালো) ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে জিরার খুচরা দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, আফগানি জিরা কেজিতে ৭০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি লবঙ্গের দাম ১০০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মসলা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। বাজারে দারুচিনি (চীন) প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) প্রতি কেজি ৩৭০ টাকা, এলাচ প্রতি কেজি ২৮০০ থেকে ৪০০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, গোলমরিচ (কালো) ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়া জয়ত্রী প্রতি কেজি ৩৬০০ টাকা, জয়ফল ১০০০ টাকা, পোস্তাদানা ১৪০০ টাকা, মেথি ১২০ টাকা, সরিষা ৮০ টাকা, কালোজিরা ৩০০ টাকা, আস্ত ধনিয়া ১২০ টাকা, কাজুবাদাম ১০০০ টাকা, ৪ পেস্তাবাদাম ১৯০০ টাকা, কাঠবাদাম ৮০০ টাকা, আলু বোখারা ৪০০ টাকা, কিসমিস ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী সুজন বলেন, সাধারণত কোরবানির ঈদের আগে এলসি খোলা ও আমদানিকৃত মসলা দেশের বাজারে আসে। এবার বিক্রি কম। আগের মালের সরবরাহ আছে, নতুন মালও এসেছে, এতে কয়েকটা মসলার দাম কমেছে। একই কথা জানান খিলগাঁও বাজারের মসলা ব্যবসায়ী উলিউল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার পাইকারি বাজারে আগের মসলার স্টক জমা পড়ে আছে, ঈদের আগে দাম বাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া এখন বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি নেই, বিক্রিও ভালো না। এ অবস্থায় দাম কমতে পারে, বাড়বে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে