শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর মার্কেটগুলো ফাঁকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ মে ২০২০, ০০:০০

ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তেও রাজধানীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় নেই। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আশানুরূপ বেচাকেনা নেই। অনেকটাই ক্রেতা সংকটে ভুগছেন বিক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশও বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ১০ মে থেকে মার্কেট খুলেছি। মার্কেটে দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা অনেক কম। দিন শেষে বেচাকেনা হতাশ করছে আমাদের। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছেন না বলেও মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার যুবরাজ পস্নাজার আধুনিক ফ্যাশনের মালিক জামির হাসান রতন বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকান খুলছি। আগের চেয়ে মানুষের ভিড় ও বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে বাড়লেও আশানুরূপ হচ্ছে না। গত বছরের বিক্রির ২০ শতাংশও এ বছর করতে পারিনি। ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। এ সময়ের মধ্যে তেমন কী বা বিক্রি হবে বুঝতে পারছি না।

দিন শেষে বেচাবিক্রি আমাদের হতাশ করছে বলে জানালেন মিরপুরের নান্নু মার্কেটের আল স্টার ফ্যাশন কর্নারের মালিক মাহমুদুলস্নাহ।

তিনি বলেন, সকাল থেকে মার্কেট খোলার পর দুপুর পেরিয়ে গেলেও বেচা-বিক্রি একেবারেই নেই। আর মাত্র দুই ঘণ্টায় কতোইবা বিক্রি হবে। গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বিক্রি নেই বলে তিনি জানান।

এদিকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন কবির হোসেন। তিনি বাচ্চার কাপড় কিনতে এসেছেন মিরপুর মার্কেটে। কবির বলেন, আমাদের বড় উৎসব হচ্ছে ঈদ। তাই উৎসব থেকে বাচ্চাদের বঞ্চিত করতে চাই না। এ জন্য বাচ্চাদের ঈদের জামা-কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। যত দ্রম্নত সম্ভব কিনে বাড়ি ফিরব। করোনার কারণে বাড়ির বড় কারও জন্য কোনো কিছু কিনছি না।

তবে রাজধানীর প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশ মুখেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক দোকানিই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছেন। কাস্টমার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে উৎসাহিত করছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া ক্রেতারা মার্কেটের প্রবেশমুখ থেকেই হাত পরিষ্কার করেই মার্কেটে প্রবেশ করছেন। এ ছাড়া দোকানগুলোর ভেতরও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বারবার বলে সতর্ক করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। আমরা সেটি মেনে চলছি এবং ক্রেতা সাধারণকেও সেটি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে সরকার অনুমতি দিলেও শপিংমল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্ক খুলেনি। একই সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমলও বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের বাজার করার জন্য শপিংমলে ভিড় বাড়বে। আর এই ভিড় থেকেই বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকানপাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এর আগে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় এক ঘণ্টা কমানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।

বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<100368 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1