শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার প্রভাবে শাহজাদপুরের অর্ধলাখ তাঁতশ্রমিক বেকার

এমএ জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
  ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

করোনার প্রভাবে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্প খ্যাত শাহজাদপুরের কয়েক হাজার তাঁত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় অর্ধ লাখ শ্রমিক। একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শ্রমিক পরিবারের এখন ত্রাহি অবস্থা। তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব শ্রমিক।

দেশের অর্থনীতিতে তাঁতশিল্পের ভূমিকা অনেক। এখানকার তাঁত কারখানায় উৎপাদিত বস্ত্র দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। তাঁত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এই উপজেলার লক্ষাধিক নারী-পুরুষ বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। করোনার প্রভাবে কারখানা মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দেয়ায় শ্রমিকরা অলস বসে খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে উপজেলার তাঁতসমৃদ্ধ এলাকা খুকনী, কৈজুরী, জামিরতা, ডায়া, রুপপুর, তালতলা, হামলাকোলা, পুঠিয়া, পোরজনা, পাড়কোলা, গাড়াদহ এলাকার তাঁত কারখানাগুলি বন্ধ দেখা যায়। অথচ কয়েকদিন আগেও তাঁতের খট খট শব্দ আর শ্রমিকদের কলরবে মুখরিত ছিল তাঁতীপাড়া।

ডায়া পূর্বপাড়া গ্রামের তাঁতশ্রমিক সাগর আলী (৪৮) জানান, গত ২০ বছর ধরে তিনি তাঁতে কাপড় বুনে জীবিকানির্বাহ করছেন। হঠাৎ করোনার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ায় এখন তিনি বেকার। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কেউ এ পর্যন্ত সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। কবে নাগাদ এই অবস্থা কাটবে, জানা নেই তার। পুঠিয়া গ্রামের তাঁতশ্রমিক সাহেদ আলী (৩৬) জানান, তাঁত বন্ধ; পরিবারের বোঝা আর বহন করতে পারছেন না। না খেয়ে থাকলেও দেখার মতো কেউ নেই।

এ ব্যাপারে হামলাকোলা গ্রামের তাঁত কারখানা মালিক আবদুল মান্নান জানান, সরকারি নির্দেশ মেনেই কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতি তাদেরও হচ্ছে। শ্রমিকদের এই দুর্দিনে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থসহ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসা উচিৎ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94932 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1