বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
আলোচিত ফরিদুল হত্যা মামলা

এক আসামির মৃতু্যদন্ড ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

কুষ্টিয়ার ইবি থানার বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী ফরিদুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযুক্ত ১ আসামির মৃতু্যদন্ড এবং ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অরুপ কুমার গোস্মামী এই রায় দেন। এ সময় মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে ৭ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৫ আসামি পলাতক আছে।

মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কুষ্টিয়ার ইবি থানা বানিয়া পাড়া গ্রামের নফছের আলীর ছেলে জগো আলী (পলাতক) এবং যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- একই থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বদর উদ্দিনের পুত্র ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (পলাতক), বৃত্তিপাড়া গ্রামের মনোয়ার মন্ডলের পুত্র শহিদুল, গজনবীপুরের ফকির মন্ডলের পুত্র বাদশা মন্ডল (পলাতক), দেড়িপাড়া গ্রামেল তয়াক্কেল জোয়াদ্দারের পুত্র আলিম জোয়াদ্দার, বারুইপাড়া গ্রামের আফাজ সদ্দারের পুত্র আমিরুল ইসলাম, উজানগ্রামের মোনাউলস্নার পুত্র বাবলু (পলাতক), তাইজাল আলীর পুত্র সাইদুল, ইজ্জত আলীর পুত্র মিজানুর রহমান, ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন, মজিদ মন্ডলের পুত্র আসাদুল, সামসুল আলীর পুত্র ইউনুছ আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৩ তারিখে চরমপন্থি সন্ত্রাসী ফরিদুলের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মানিক মন্ডল নামের এক ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে।

পরে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ফরিদুলের সহযোগী জগোসহ অন্য সন্ত্রাসীদের সাথে ফরিদুলের বিরোধ বাধে, এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ফরিদুলের মাথা কেটে তাকে হত্যা করে এবং তার মাথা ইবি থানার বারুইপাড়া গ্রামের একটি ব্রিজের উপর রেখে দেয়, পরে পুলিশ এসে ওই কাটা মাথাটি উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরের দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একই থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই প্রদান করেন।

এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে রানা হোসেন এবং বেলি খাতুন নামের দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমান। এই মামলার দুই আসামি পলাতক থাকায় আসামিদের অনুপস্থিতিতেই সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় এই রায় ঘোষণা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- দৌলতপুর উপজেলার আলস্নাহর দর্গা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পুত্র রানা হোসেন এবং সোহেল রানার স্ত্রী বেলী খাতুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<89934 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1