পবিত্র ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার খামারে লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। খামারগুলোতে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্টকরণের কাজ।
খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৩৫টি গবাদিপশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্র কাযার্লয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এক লাখ ৮১ হাজার পশু কোরবানি করা হয়। এ বছরও সমপরিমাণ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে খামারিরা বলছেন, চাহিদার অনুপাতে পযার্প্ত কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। এসব কোরবানির পশুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণের জন্য খামারিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গবাদিপশুগুলোকে ঘাষ, খড়, খৈল, ভুষিসহ দেশীয় খাবারের মাধ্যমে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। খামারিরা জানায়, জেলায় যে পরিমাণ গবাদিপশু রয়েছে, তা দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের আবুল বাশার জানান, কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য তিনি গত এক বছর ধরে ১৬টি গরু লালন-পালন করছেন। গরুগুলোকে শুধুমাত্র ঘাষ, খড়, খৈল ও ভুষি খাওয়ান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ গণেশ চন্দ্র মÐল বলেন, কেমিক্যালের মাধ্যমে কোরবানির পশু যাতে মোটাতাজা করা না হয়, সে ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে নিয়মিত পযের্বক্ষণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের জন্য খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।