নাটোরের বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘষের্ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসানুজ্জামান শিপন, মাসুদ রানা ও শাহীন আলম নামে তিনজনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে। পরে অধ্যক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসানুজ্জামান শিপনকে হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে শিপন ৩-৪ জন বহিরাগত নিয়ে কলেজ চত্বরে শোক দিবসের মঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের জন্য রক্ষিত চেয়ারে বসে। সেখানে উপস্থিত অপর শিক্ষাথীর্ মাসুদ রানা তাদের শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় শিপন চেয়ার না ছেড়ে উল্টো মাসুদের সঙ্গে বিতকের্ জড়ায়। এর একপযার্য় শিপন উত্তেজিত হয়ে মাসুদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে সংঘষর্ বাধে। এতে মাসুদ, শিপনসহ অন্তত সাতজন আহত হয়।
বড়াইগ্রাম কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক রেজাউল করিম জানান, মাসুদ রানা সম্মান শ্রেণির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র এবং হাসানুজ্জামান শিপন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বষের্র ছাত্র। তারা উভয়ে ছাত্রলীগ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
বড়াইগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন জানান, শাহীন আলম ৯ নম্বর ওয়াডর্ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং হাসানুজ্জামান শিপন ও মাসুদ রানা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
বড়াইগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বলেন, কলেজ চত্বরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপরাধে শিপনকে গ্রেপ্তারের নিদের্শ দেয়া হয়েছে। তার নামে মামলা করা হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে কলেজ চত্বরে টহল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অধ্যক্ষের মৌখিক অভিযোগে শিপন নামে এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।