সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নানা সমস্যায় রোগীদের সেবা প্রদানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ, যন্ত্রপাতি, জেনারেটর, অ্যাম্বুলেন্স, শয্যা নেই। এমন হাজারও সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। ফলে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আসা কয়েকশ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৩১ শয্যার কার্যক্রমেও নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালে ১০২ স্টাফের বিপরীতে আছেন ৩৯ জন। তিন উপজেলার মধ্যবর্তী স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হওয়ায় সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে সড়ক থাকার কারণে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে হাসপাতালটি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ হাসপাতালটির ৫০ শয্যার উদ্বোধন হয়। দীর্ঘদিন পরেও ৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে ৩১ শয্যায়। এখানে জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি, জুনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যানেসতেশিয়াসহ ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথিক), সহকারী সার্জন ৫টি পদের ২টি শুন্য, চিকিৎসক সহকারী ২টি পদের ১টি শুন্য, চিকিৎসক সহকারী ৫টি, ফার্মাসিস্ট ২টি, মেডিকেল টেকনোলজি ২টি, মেডিকেল টেকনোলজি ১টি, মেডিকেল টেকনোলজি ১টি, সহকারী নার্স ১টি, ক্যাশিয়ার ১টি, স্টোর কিপার ১টি, অফিস সহকারী ৩টি পদে ১টি, স্বাস্থ্য সহকারী ২০টি পদে ৭টি, জুনিয়র মেকানিক ১টি, অফিস সহায়ক ৪টি পদের ৩টি, ওয়ার্ড বয় ৩টি পদে ৩ জন থাকলেও ২ জন ডেপুটেশনে অন্যত্র থাকায় ২টি পদ শুন্য রয়েছে। উন্নতমানের সার্জারি অপারেশন থিয়েটার, উন্নত মানের এক্সরে, ইসিজি, আর.বি.এ মেশিন যন্ত্রপাতি থাকার পরও চিকিৎসক ও স্টাফ সংকটের কারণে সেগুলো অকেজো পড়ে আছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৭ সালে কমপেস্নক্সে একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স আসে। প্রায় ৩ বছর পর বিভিন্ন রকম যান্ত্রিক ত্রম্নটি দেখা দেয়ায় সেটিও বর্তমানে অকেজো। আধুনিক জেনারেটর থাকার পরও ২ বছর ধরে বিকল, ঔষধি বাগান পরির্চযার অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী উপজেলার হেমু গ্রাম থেকে আসা রোগী হারুন আহমদ জানান, সরকারি হাসপাতালে শুধু নাই আর নাই শুনতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল হক সরকার জানান, সমস্যার বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। শিগগির এসব সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।