বাগেরহাট সদর সংবাদদাতা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ কোনো বন্যপ্রাণী মারা যায়নি। তবে ৬টি আবাসিক, ১৭টি অনাবাসিক, ১০টি জেটি ও ১৯টি নৌযানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
দুই রেঞ্জ কর্মকর্তা সরেজমিন বন ঘুরে দেখে সোমবার রাতে তাদের প্রতিবেদন বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে, কি পরিমাণ বনের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই রেঞ্জ কর্মকর্তা সরেজমিন ঘুরে দেখে তাদের প্রতিবেদন জমা দিবেন। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মূলত জানা যাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ।
তবে বনবিভাগের সংগৃহিত প্রাথমিক তথ্য মতে, দুবলার চরে বাঁশ, গোলপাতা, হোগলা ও পলিথিন দিয়ে তৈরি জেলেদের অস্থায়ী কিছু ঘরের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বনবিভাগের বিভিন্ন স্টেশন ও ক্যাম্পের পুরনো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বনের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহিন কবির ও শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা সোমবার রাতে তার কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
তবে, বনের অরণ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ এখনো চলছে।