মাগুরার মহম্মদপুরে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহনিমাের্ণর জন্য উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দপ্তর থেকে পাঠানো ৮২ জনের নামের তালিকায় অতিরিক্ত চেপে বসেছে ১৮৯ জন। শুধু তাই নয়- সরকারিভাবে পাঠানো ৮২ জনের তালিকা থেকে ৪ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহনিমার্ণ’ উপখাতের আওতায় গৃহনিমাের্ণর লক্ষ্যে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দপ্তর ৮টি ইউনিয়ন থেকে যাচাই-বাছাই পূবর্ক ৮২ জন ভিক্ষুকের নাম অন্তভুর্ক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তালিকা প্রেরণ করে। কিন্তু ৮২ জনের তালিকা থেকে ৪ জনের নাম বাদ দিয়ে অতিরিক্ত অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে ১৮৯ জনের নাম।
প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম সামসুদ্দিন ২৬৭ জনের তালিকা অনুমোদন দেন গেল ৪ জুনে। যার অনুক‚লে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসারের অজান্তে বাবুখালী ইউনিয়নের ১০ জনের তালিকায় অতিরিক্ত ৪০ জনের নাম, বিনোদপুর ইউনিয়নের ১০ জনের তালিকায় অতিরিক্ত ৭০ জনের নাম এবং দীঘা ইউনিয়নের ১০ জনের তালিকায় অতিরিক্ত ৪০ জনের নাম অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের ১০ জনের তালিকা থেকে ৪ জনের নাম বাদ দিয়ে অতিরিক্ত অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে ৩৯ জনের নাম।
সরকারিভাবে পাঠানো ৮২ জনের নামের তালিকায় স্থানীয় একটি চক্রের কারসাজিতে অতিরিক্ত ১৮৯ জনের সাম অন্তভুির্ক্তর বিষয়টিকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদশর্ন করা ছাড়া আর কিছুই নয়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনুসন্ধানে চালিয়ে অতিরিক্ত ১৮৯ জনের নাম অন্তভুির্ক্তর নেপথ্যের ব্যক্তির নাম সামনে চলে আসে। ওই ব্যক্তি নাম শাহনেওয়াজ ওরফে মোহর আলী। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক। কানুটিয়া বাজারে তার চেম্বার রয়েছে। তিনি আওনাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মুন্সীর ছেলে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষ যাতে ঘর পেয়ে উপকৃত হয়, সেজন্য তিনি একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন। তিনি আরও বলেন, ইউএনর স্মারকে তালিকা অনুমোদন হওয়ায় তিনি আমাদের তালিকায় থাকা দরিদ্র পরিবারগুলোর গৃহনিমার্ণ কাযর্ক্রম স্থগিত রখেছেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, আমরা ৭৮টি পরিবারে গৃহনিমার্ণ কাযর্ক্রম শুরু করেছি ইতোমধ্যে। অতিরিক্ত অন্তভুর্ক্ত হওয়া ১৮৯টি পরিবার সম্পকের্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের পরবতীর্ নিদের্শনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।