হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা
অবিরাম বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকালে হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা কমে ১৮ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৪টি উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, গড্ডিমারী, সিংগীমারী, ডাউয়াবাড়ি ও পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ও কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার ও কাকিনাসহ জেলার অন্তত ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার পরিবার। আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় কাঁচা সড়কের প্রায় ৫০ মিটার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম ধুবনী, ধুবনী, পূর্ব সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্নাসহ পাঁচটি গ্রাম পস্নাবিত হয়। এ ছাড়াও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, গড্ডিমারী, সিংগীমারী, ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার ও কাকিনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। আবাদি জমি ও পুকুর-জলাশয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।