বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধুনটে পৌরবাসীর ভোগান্তি

ধুনট (বগুড়া) সংবাদদাতা
  ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতার দাবিতে সারাদেশের মতো বগুড়ার ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে এক সপ্তাহ ধরে ধুনট পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ঢাকায় আন্দোলন করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ধুনট পৌরবাসীকে।

জানা গেছে, ২০০১ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে বগুড়ার ধুনট পৌরসভা স্থাপিত হয়। প্রথমে 'গ' শ্রেণীর পৌরসভা স্থাপিত হলেও ২০১৫ সালে 'খ' শ্রেণীতে উন্নীত হয় ধুনট পৌরসভা। বর্তমানে ধুনট পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ২২ জন। এ ছাড়া একজন মেয়র ও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ রয়েছেন ১৩ জন। এদিকে পৌরসভার বার্ষিক রাজস্ব আয় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনই দিতে হয় প্রায় ৯১ লাখ টাকা। এ ছাড়া পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের বেতন প্রায় ১৬ লাখ টাকা। তাছাড়া ঝাড়ুদার ও সুইপারসহ আনুষঙ্গিক খরচ আরো প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ধুনট পৌরসভার এই তথ্য অনুয়ায়ী বার্ষিক আয়ের থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। এ কারণে মাসের পর মাস বেতনভাতা বন্ধ থাকে পৌরমেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তাই তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বেতনভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ধুনট পৌরসভা বন্ধ করে পৌরমেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান করায় অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সড়ক আলোকিত করা, ওয়ারিশিয়ান সনদ, নাগরিক সনদ, চারিত্রিক সনদ, জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন সনদ, প্রত্যয়নপত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র সনদসহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী।

ধুনট পৌরসভার সচিব শাহিনুর ইসলাম বলেন, ধুনট পৌরসভার মেয়রসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত ১১ মাসের বেতনভাতা বকেয়া রয়েছে। বেতনভাতা না পেয়ে অনেক পরিবারকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাই সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতনভাতার দাবিতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো আমরাও ঢাকায় অবস্থান করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে ঘরে ফিরব না।

ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ্‌ বলেন, সরকারিভাবে যে উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ আসে তা দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। কিন্তু পৌরসভার রাজস্ব খাতে যে আয় হয় তা দিয়েই সবার বেতন দিতে হয়। কিন্তু যে রাজস্ব আদায় হয় তা দিয়ে বেতন দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে মাসের পর মাস বেতনভাতা বন্ধ থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<59116 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1