শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার টি-বাঁধের ১৫০ মিটার জুড়ে ধস

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
  ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
উলিপুরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটি তিস্তা নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে -যাযাদি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি হয়েছে। তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটির ১৫০ মিটার ধসে গেছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের শত শত বাড়িঘর ও আবাদি জমি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়বে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এরই মধ্যে বন্যার পানিতে খেলতে গিয়ে হাবিবুলস্ন্যাহ নামে ৬ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃতু্য হয়েছে। এদিকে দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে বন্যাকবলিতদের।

এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১০৫ সে. মিটার, ধরলা নদীর পানি ১১০ সে. মিটার ও তিস্তা নদীর পানি ১১ সে. মিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নতুন নতুন বিভিন্ন এলাকা পস্নাবিত হচ্ছে।

বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলার থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যন আইয়ুব আলী সরকার জানান, রামনিয়াসা, চর রামনিয়াসা, চর গোড়াইপিয়ার, জোয়ান সাতার, খারিজা নাটসালা চর হোকডাঙ্গা গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে রোববার দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, পানির প্রবল স্রোতে বাঁধটির বিশাল অংশ ধসে গেছে।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, সম্প্রতি লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে অপরিকল্পিতভাবে সংস্কার করা বাঁধটি যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

তবে কুড়িগ্রাম পাউবো'র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, 'এখন পর্যন্ত ১৮শ' বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<58389 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1