মাহে রমজানজুড়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসলেও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগকৃত অসুস্থ গবাদিপশু চিহ্নিতকরণে কিছুই করতে পারছেন না তারা। ফলে চোখ বুঝে এসব অসুস্থ পশুর মাংস কিনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে এ অঞ্চলের ভোক্তাদের।
জানা গেছে, পবিত্র রমজানে গরু ও খাসির মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলা ও উপজেলার বাজারগুলোতে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগকৃত অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন জানান, গবাদিপশু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই। এটা সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব।
এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা যখন মাংসের দোকানে অভিযান চালাই। তখন দোকানিরা বলে এ মাংসে এন্টিবায়োটিক নেই; তখন আমাদের করার কিছুই থাকে না।'
তিনি জানান, দেশে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগকৃত কিংবা অসুস্থ পশু শনাক্ত করতে ঢাকায় একটি ল্যাবরেটরি তৈরি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বছর দুই এক পর এটি প্রস্তুত হবে।
তিনি বলেন, 'এ ল্যাবরেটরি যখন প্রস্তুত হবে তখন মৌলভীবাজার থেকে সন্দেহজনক গবাদিপশুর মাংস প্যাকেট করে ঢাকায় পাঠিয়ে নিশ্চত হওয়া যাবে এটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত। পরীক্ষায় যদি ধরা পড়ে যে, এটাতে ভেজাল আছে তখন আমরা ওই সকল বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো।'