বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র দাবদাহে বাড়ছে রোগব্যাধি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

সূর্যের প্রখর তাপে ক্লান্ত শহর অসহনীয় দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের জনজীবন। বাংলা বছরের শুরু থেকেই সূর্যের তাপ যেন আগুন ঝরাচ্ছে প্রকৃতিতে। পর্যটন শহরে কাঠফাটা রোদ দেখে মনে হচ্ছে যেন তেতে উঠছে বৈশাখী সূর্য। গত সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড গরমে হাসপাতালগুলোতে নানা রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো রোগীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। ডায়রিয়া, ভাইরাস জ্বর সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। জনগণকে তাই পানি, স্যালাইন, ডাব ও লেবুর শরবত বেশি বেশি করে পান করতে পরামর্শ চিকিৎসকদের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার কক্সবাজারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সূর্যের তাপ। এ ছাড়া আকাশে নেই কোনো মেঘের বলয়। দাবদাহ থাকবে আরও সপ্তাহ খানেক। ফলে এই অসহনীয় গরম থাকবে আরও কিছুদিন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে দেখা গেছে কয়েকদিনে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়েছে। নিম্নচাপ নেমে গেলে তাপমাত্রা দ্রম্নত কমে যাবে। গতকাল ও এর আগের দিন ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। অধিক গরমের তাপমাত্রা বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্তরা। শুধু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নয়, ফুয়াদ আল খতিব, ডিজিটাল, সেন্ট্রাল, জেনারেল ও সী-সাইড হাসপাতালসসহ আরও অনেক ক্লিনিকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম ও দাবদাহে পুড়ছে শুধু কক্সবাজার। সূর্যের প্রচন্ড তাপ ও গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। সঙ্গে প্রাণিকূলও একটু পানি আর ছায়ার জন্য হাঁসফাঁস করছে। সবারই ত্রাহি অবস্থা। বৃষ্টি এবং বাতাস না হওয়ায় বিশেষ করে গত ৬/৭ দিন ধরে গরমের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গেছে। এতে করে প্রচন্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠছে শিশুদের জনজীবন। গরমের এমন তৃষ্ণা মেটাতে কক্সবাজার ও ইনানি বিচে বাড়ছে ডাবের চাহিদা এবং রসালো ফলের আমদানি। দিনের সূর্যের তাপ রাতে না থাকলেও সূর্যতাপের রেশ থাকছে মধ্যরাত পর্যন্ত। এই গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানান, 'যথাসম্ভব বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। রাস্তাঘাটের শরবতজাতীয় পানি থেকে দূরে থাকতে। যারা হোটেলের ওপর নির্ভরশীল এ সময় তাদের অবশ্যই ভালো হোটেলে খাবার খেতে হবে। আর যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে বেশি বেশি করে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। শুধু বড়দের না ছোট বাচ্চাদেরও করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<46538 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1