শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরিষার ফলনে হতাশ কৃষক

স্টাফ রিপোটার্র, রাজবাড়ী
  ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দিগন্ত জোড়া সরিষার মাঠ। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। যেন হলুদ রংয়ে সেজেছে পুরো গ্রাম। সরিষা ফুলের সৌন্দযর্ আর ঘ্রাণে বিমোহিত ভ্রমণ পিপাসুরা। কিন্তু সৌন্দযের্র আড়ালে কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে শঙ্কা ও হতাশা। বাইরে থেকে দেখে সরিষার ফলন যতটা ভালো মনে হচ্ছে ভেতরে তার ঠিক বিপরীত। কারণ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গাছে দানা আসেনি। পাওয়া যাচ্ছে না মৌমাছির দেখাও।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বারলাহুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা মেলে সরিষা খেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য। আদিকাল থেকেই এখানে সরিষার চাষ বেশি হয়ে থাকে। সরিষা একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকরা এটি বেশিই চাষ করে থাকে। সাধারণত আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পরপরই কাতির্ক অগ্রহায়ণ মাসে সরিষার বীজ বপণ করা হয়। সরিষা পাকার পর কাটা হয় মাঘ মাসের দিকে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় এবার এক হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে দুইশ হেক্টর বেশি। গত বছর চাষ হয়েছিল ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে মৌমাছির ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। কারণ, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণের মাধ্যমে পরাগয়নে সহায়তা করে থাকে।

একই গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি বাদল আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার ফলন ভালো হয়। তাতে তারা প্রচুর লাভবানও হয়ে থাকেন। এইবার বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তার শঙ্কায় আছে ফসল কতটুকু ভালো হবে। খেতে মৌমাছিরও দেখা মিলছে না। যে অবস্থা দেখছেন তাতে ফলাফল তেমন হবেনা বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ কৃষিবিদ মো. বাহাউদ্দিন সেক বলেন, মৌমাছি না আসা সম্পকের্ বলেন, মৌমাছির এমনিতেই স্বল্পতা আছে। অনেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৌমাছির চাষ করে থাকেন। সকল এলাকায় মৌবাক্স দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সরিষা খেতে মৌবাক্স স্থাপনের জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<33136 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1