কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই। চালক না থাকায় দীঘির্দন গ্যারেজে পড়ে আছে নতুন মডেলের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি। চালকের অভাবে সড়ক দুঘর্টনায় আহত কিংবা মুমূষুর্ রোগীদের কোনো কাজে আসছে না আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি। কবে নাগাদ চালকের সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না উপজেলা স্বাস্থ্য কমর্কতার্ ও কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সাজর্ন।
কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুঘর্টনায় আহতসহ মুমুষর্ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুস্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন হয়। মিরপুর পৌরসভাসহ পাশ্বর্বতীর্ পোড়াদহ, আমলা, সদরপুর, কুশার্, মালিহাদ, চিথলিয়া, ধুবাইল, বারুইপাড়া, ছাতিয়ান, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নসহ পাশ্বর্বতীর্ দৌলতপুরের এক- তৃতীয়াংশ সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল মিরপুর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবে সচল না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মুমূষুর্ রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি মিরপুর হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময়ে মিরপুরের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকার কারণে সেখানকার চালক নুরুজ্জামান খানকে মিরপুর থেকে তৎকালীন সিভিল সাজের্নর মৌখিক নিদেের্শ দৌলতপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চালক হিসেবে শতর্সাপেক্ষে দায়িত্ব দেওয়া হয়। (যাতে করে মিরপুরের অ্যাম্বুলেন্সটি আনা হলে তাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে) পরবতীের্ত কুষ্টিয়ার সিভিল সাজর্ন নিজে দৌলতপুর থেকে চালককে সরিয়ে তার নিজের গাড়ি চালক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। ডেপুটেশনে আনা চালক তার নিধাির্রত কমর্স্থলে ফিরে না যাওয়ায় মিরপুর হাসপাতালের আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি দীঘর্ ৬ মাস ধরে পড়ে আছে হাসপাতালের নিধাির্রত গ্যারেজে।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ ডা. সেলিম হোসেন ফরাজী জানান, শিগগিরই তারা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালকের ব্যবস্থা করবেন।