দৈনন্দিন কাজে মানুষের ব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের ভাঙা আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পলি জাতীয় আবজর্না প্রসেসিংয়ের পর চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি এসব কারখানায় কমর্সংস্থানের সুযোগ পেয়েছে এই এলাকার কয়েকশ মানুষ। সেই সঙ্গে এসব পরিত্যক্ত বোতল ও আবজর্না সংগ্রহের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা রাখছেন তারা।
মহিমাগঞ্জের এমেক্স রিসাইক্লিনিং কারখানার ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ফ্যাক্টরিতে প্রায় ৩০০ বেকার নারী-পুরুষের কমর্সংস্থান হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ভাংরি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বোতল ও প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহ করে রিসাইক্লিনিং করে পরিষ্কারের পর আমরা সরাসরি ভারত ও চীনে রপ্তানি করি। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরোক্ষ ভ‚মিকা রাখার পাশাপাশি অনেক মানুষের কমর্সংস্থান হয়েছে।
পাশর্¦বতীর্ সাহেববাজার এলাকার মুন্সি ট্রেডাসের্র স্বত্বাধিকারী আবদুল হাদি মুন্সি জানান, ফেলে দেয়া জিনিসপত্র নিয়ে এসে লেবার দিয়ে পরিষ্কার করে মেশিন দিয়ে ভেঙে বস্তাভতির্ করে বিক্রি করা হয়। এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিক চিপসগুলো বড় বড় ব্যবসায়ীরা চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অজর্ন করছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষের কমর্সংস্থান হয়েছে এই কাজে। এখানে কমর্রত শ্রমিকরা প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা মজুরি পান।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রামকৃষ্ণ বমর্ণ বলেন, এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। চাইলে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জঞ্জাল নিয়ে পরিবেশের ক্ষতির যে আশঙ্কা ছিল, এসব কারখানা সেটা কিছুটা লাঘব করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।