শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারপিটের শিকার সেই শিক্ষক এখন কম্পিউটার অপারেটর!

মনিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বিদ্যালয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় দুই নারী সহকমীর্ ও পিয়নের হাতে মারপিটের শিকার যশোরের মনিরামপুরের সেই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত হলেও আজও আলোর মুখ না দেখায় সবর্মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মারপিটের শিকার একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু শাহাদাৎ মারুফকে উপজেলা রিসোসর্ সেন্টারের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ডেপুটেশনে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে রেখে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে একজন শিক্ষককে এ পদে দেয়াকে অসম্মানজনক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তাকে এখন প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও রিসোসর্ সেন্টার দুই অফিস সামলাতে হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম, দুই নারী সহকারী শিক্ষক মজির্না খাতুন ও রিজিয়া খাতুন এবং নৈশপ্রহরী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূণর্ স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান চালান। স্কুলে আগমন-প্রস্থানেরও তোয়াক্কা করেন না তারা। স্কুলের পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয়ের নিধাির্রত সময়ের আগেই শুরু করাসহ প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসেই কাজের দোহাই দিয়ে চলে যান।

এ নিয়ে একই স্কুলের শিক্ষক মারুফ সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা অফিসার হায়দার আলীকে অবহিত করেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমকে বকাঝকা করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মারুফকে সাইজ করতে ফন্দি অঁাটে।

এরই জের ধরে গত ৮ আগস্ট বুধবার প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদদে পরিকল্পনা মাফিক নৈশপ্রহরী ও দুই সহকারী নারী শিক্ষক আবু শাদাৎ মারুফ হাসানকে স্কুল ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করাসহ ঘরের সিলিং ফ্যান এবং পানি তোলা মোটর অন করে মারপিট করে বলে অভিযোগ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12347 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1