ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে সুবিধাভোগীর কাছে হস্তান্তরের আগেই নদীতে বিলীন হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাটের দক্ষিণ খাউরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-২। ফলে ১৫০ পরিবারের আশ্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ভাঙনের মুখে রয়েছে আশপাশের গ্রামের ২ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় দক্ষিণ খাউরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর সদ্য নির্মিত ৫টি ব্যারাক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি ব্যারাকগুলোও বিলীনের পথে। এলাকার শাহ্আলম, জাহেনারা, লাইলিসহ অনেকে জানায়, নদীতে স্রোত আর পানি বাড়ায় ভাঙনের তীব্রতাও বেড়ে গেছে। ফলে একের পর এক বাড়িঘরসহ গ্রামের পর গ্রাম নদীতে চলে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দক্ষিণ খাউরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর মাটি ভরাটের জন্য ৫১৯ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাটির কাজ শেষ হলে সেখানে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ পরিবারের জন্য ৩০টি ব্যারাক তৈরি করে সেনাবাহিনী। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যারাকগুলো হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আশ্রয়হীন সুবিধাভোগীর মাঝে আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তরের আগেই শুরু হয় নদীভাঙন।
নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, 'আশ্রয়ণ প্রকল্প ছাড়াও বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের মুখে। এতে এলাকাবাসীর মাঝের ঘর-বাড়ি হারানোর শঙ্কা বিরাজ করছে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডবিস্নউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, আশ্রয়ণকেন্দ্রের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সরেজমিন ঘুরে সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'