আজকের যায়যায়দিন

শরীরে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম বেশি মাত্রায় থাকায় উপস্থিত থাকার ফলে করোনাভাইরাসের আক্রমণে পুরুষের মৃতু্যহার বেশি বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। এনজাইমটি করোনাভাইরাসের অনুকূলে কাজ করায় ভাইরাসটি প্রবলভাবে পুরুষের শরীরের কোষগুলোকে আক্রমণ করে। নারীর শরীরে এই এনজাইম পুরুষের চেয়ে অনেক কম থাকায় করোনায় তাদের মৃতু্যহার কম।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সাপ্তাহিক স্বাস্থ্য জার্নাল 'ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল'-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এসব তথ্য জানানো হয়। সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ প্রতিবেদনের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের হৃদযন্ত্র, কিডনি, ফুসফুসসহ অনেক প্রত্যঙ্গে অ্যানজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম-২ (এস-২) থাকে। এই এনজাইমটি করোনাভাইরাসকে ফুসফুসসহ মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আক্রমণের ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এস-২ কোষের বাইরের অংশে অবস্থান করে ও রিসেপটর হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি করোনাভাইরাসকে কোষের মধ্যে প্রবেশে সাহায্য করে। কেবল হৃৎপিন্ড, কিডনি বা ফুসফুস নয়, পুরুষের টেস্টিকলেও উচ্চমাত্রায় এস-২ থাকে। টেস্টিকলে উচ্চমাত্রায় এস-২ উপস্থিতি করোনায় পুরুষের অধিক মৃতু্যহারের কারণকে একাংশে ব্যাখ্যা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হাসিনা-থাভিসিন বৈঠক / বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হৃদযন্ত্র, কিডনি, ডায়াবেটিস চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এস ইনহিবিটরস বা অ্যানজিওটেনসিন রিসেপটর বস্নকার্স (আরবস) ওষুধগুলো শরীরে এস-২ এনজাইমের মাত্রা বাড়ায় না। ফলে এসব ওষুধ সেবনে করোনার ঝুঁকি বাড়ে না।

গবেষণার একাংশে নেতৃত্বে থাকা নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের কার্ডিওলজির অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান ভোর্স বলেন, আমাদের গবেষণা মতে, হৃদযন্ত্র, কিডনি, ডায়াবেটিস বা এ সংক্রান্ত কোনো অসুখে ভোগা কেউ যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে এস ইনহিবিটরস বা অ্যানজিওটেনসিন রিসেপটর বস্নকার্স (আরবস) ওষুধগুলো সেবন করেন এবং তিনি যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তবে এসব ওষুধ সেবন বন্ধ করা যাবে না।