শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সবাইকে পত্রিকা পড়ার আহ্বান নোয়াবের

নতুনধারা
  ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বিশ্বব্যাপী করোনোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ আতঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে। এই আতঙ্কের বোধগম্য কারণ আছে। মানুষ এমন একটি জীবাণুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। ফলে এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার যে ব্যাপ্তি এবং মৃতু্যর যে ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, এর বিপরীতে জীবাণুটির গতিপ্রকৃতি এবং এতে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা এখনো চলমান। এই স্পর্শকাতর সময়ে গভীর সহমর্মিতায় নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সবার সঙ্গে আন্তরিক একাত্মতা প্রকাশ করছে।

বুধবার নোয়াবের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'এটি একটি দুর্যোগের মুহূর্ত- শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য। আমরা প্রত্যয় ও গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, এ দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক, সামাজিক বা প্রাকৃতিক যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে সংবাদপত্র সব সময় মানুষের পাশে

ছিল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ও বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো পাঠকদের জন্য সহায়ক এবং প্রতিকার ও সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশ করে আসছে। করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান গবেষণা, নিত্যনতুন স্বাস্থ্যবিধি ও আচরণীয় এবং সফলতার ঘটনাগুলো পত্রিকাগুলো প্রকাশ করে আসছে।'

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, মানুষের দুর্বলতার এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলছে। কাগজ থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে, এমন অনুমানে কিংবা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে অনেকে পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকছেন। প্রকৃতপক্ষে এই অনুমানের কোনো গবেষণালব্ধ ভিত্তি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন তাদের গবেষণায় দেখেছে, করোনাভাইরাস বাতাসে বেঁচে থাকে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডে এক দিন এবং পস্নাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে দুই থেকে তিন দিন। কিন্তু নানা ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণারত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলাইন ম্যাখামার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়বসাইটে বলেছেন, নানা বস্তুতলে যে ভাইরাস টিকে থাকে কথাটা শুনতে ভীতিকর শোনালেও সেখানে তারা টিকে থাকতে পারে অত্যন্ত কম, মাত্র এক হাজার ভাগের এক ভাগ (০.১%)। বস্তুতল থেকে এ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় নেই।'

'তবে কাগজে করোনাভাইরাস টিকে থাকার কোনো তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো মোড়ক গ্রহণ করা নিরাপদ কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিবিধ তাপমাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা পণ্যবাহী মোড়ক থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও যৎসামান্য। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, কাগুজে পত্রিকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা নেই।'

তা সত্ত্বেও নোয়াব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এর সব সদস্য পত্রিকার পক্ষ থেকে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নোয়াবের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঢাকা নগরীসহ সর্বত্র এজেন্ট ও হকারদের মধ্যে মাস্ক, গস্নাভস ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। নোয়াবের পক্ষ থেকে এজেন্ট ও হকারদের জন্য এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।

নোয়াব জানায়, 'এ রকম এক সময়ে সঠিক তথ্য জানা এবং জানানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার সেরা উপায় একেবারে সাম্প্রতিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যে নিজেকে প্রস্তুত রাখা। পত্রিকায় খবর পরিবেশন একটি পেশাদারি কাজ। খবর ছাপানোর আগে অভিজ্ঞ কর্মীদের মাধ্যমে নিবিড় যত্নের সঙ্গে তথ্য যাচাই ও বাছাই করা হয়। নির্ভরযোগ্য যে কোনো তথ্যের জন্য পত্রিকাই বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। করোনাভাইরাস নিয়ে এই দুর্যোগের সময়েও প্রকৃত সুরক্ষা, সতর্কতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পত্রিকাই পাঠকদের পাশে জাগ্রত বন্ধুর মতো তৎপর রয়েছে।'

নোয়াবের বিবৃতিতে সবার সুস্থতা, নিরাপত্তা ও মঙ্গলই কামনা করা হয়। একই সঙ্গে সবাইকে পত্রিকা পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94180 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1