শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় পঞ্চম ব্যক্তির মৃতু্য

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচজনের মৃতু্য হলো। তবে এই প্রথম সংস্থাটি স্বীকার করে নিলো যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে হলেও কমিউনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে সংস্থাটি ধারণা করে। তবে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে জবাবে তিনি বলছেন, 'আমরা দুইটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে।'

তিনি বলেন, 'লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটির কথা আমরা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে সেটা প্রতিরোধ করার কার্যক্রম নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এটা সারা দেশব্যাপী ট্রান্সমিশন হয়েছে, এরকম কোনো পরিস্থিতি এখনো হয়নি।'

কমিউনিটি সংক্রমণ প্রশ্নে এর আগে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, 'যখন কোনো সংক্রমক রোগের বিস্তার এমনভাবে ঘটে যে, তার উৎস সম্পর্কে তথ্য জানা যায় না, যেমন কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে যখন বিদেশফেরতদের সংস্পর্শ ছাড়াই একজন ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির শরীরে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে, হয়তো কাজ বা কেনাকাটা করতে গিয়ে, অথবা এমন মানুষের মধ্যে ছড়ায় যারা মনে করেন যে, তারা আক্রান্ত হয়নি, এভাবে রোগটি ছড়িয়ে পড়লে তখন তাকে কমিউনিটি সংক্রমণ বলা হয়। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের মতো ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পূর্ব ইতিহাস পাওয়া যায়, যেমন তিনি বিদেশে ভ্রমণ করেছেন কিনা অথবা বিদেশি বা বিদেশফেরত কারো সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তখন পর্যন্ত সেটিকে কমিউনিটি সংক্রমণ বলা যাবে না।'

বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, সার্স ভাইরাসের মহামারি কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে হয়েছিল।

বুধবার সকালে যিনি মারা গেছেন, তিনি ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি তার এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ তারিখ থেকে তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার বয়স ছিল ৬৫। তার ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন ছিল বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, সংক্রমিতদের মধ্যে আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সুস্থ হয়েছেন।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃতু্য হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন সাতজন।

বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৭ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪৭ জন।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষার কেন্দ্র আরও বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আইইডিসিআরের যোগাযোগের জন্য ০১৯৪৪৩৩৩২২২ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে হান্টিং নম্বরের মাধ্যমে অন্যান্য নম্বরে টেলিফোনটি চলে যাবে। এছাড়া ১৬২৬৩ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে।

তিনি আবারও স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়গুলো মেনে চলার অনুরোধ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94179 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1