বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে আগামী ঈদুর ফিতর পর্যন্ত করার কথা ভাবছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটির সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ছুটি সমন্বয় করে ছুটি বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ঈদের পরে নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার ইতোমধ্যে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ ছুটি বাড়তে পারে। এছাড়া চাঁদ দেখা গেলে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হবে। রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকতে পারে এমন শঙ্কায় বিকল্প উপায়ে শিক্ষাদানের পদ্ধতি খোঁজা শুরু করেছে শিক্ষার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। বন্ধের এ সময়টুকুতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি যুক্ত করে দেওয়া হবে।

এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হবে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরও বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি এ মুহূর্তে উন্নতি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। তাই শিক্ষা ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে কত দিন করা যায় তা নিয়ে আগামীকাল (আজ) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নিব। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে এটা বলা যায়।'

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, 'সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।এই সময় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছুটি থাকবে। এর পরে পরিস্থিতি বুঝে নতুন ঘোষণা দেওয়া হবে। আগামীকাল (আজ) শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বসে আরও সিদ্বান্ত নিব কত দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে।'

দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প কী ভাবা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষার্থীদের একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীন বর্ণমালা পড়ুয়া শিক্ষার্থী আছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, 'আজ (গতকাল) এটুআইয়ের কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখা হলে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠের মধ্যে রাখা যায়। টিভি, কমিউনিটি রেডিও, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে করে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়। তবে অনেক অভিভাবক আছে যাদের বাড়িতে টিভি নাই। তাদের ক্ষেত্রে কী করা যায় তা ভাবতে এটুআই কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করে আমাদের জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।'

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউলস্নাহ যায়যায়দিনকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো ছাড়া এ মুহূর্তে আর কোনো বিকল্প দেখছি না। তবে সেটি কত দিন হবে তা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, বন্ধের সময়টুকুতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক টাচে রাখতে এটুআইয়ের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে বাছাই করা শিক্ষকদের রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচার করা হবে। এছাড়াও করোনা নিয়ে সর্তকতামূলক বার্তা ১ কোটি ৪০ লাখ বাচ্চার মায়েদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে পৌঁছানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93951 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1