আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি রিপোর্ট

রাজধানীর টোলারবাগে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এক চিকিৎসক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন; কোয়ারেন্টিনে আছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক।

শনিবার টোলারবাগের ওই বৃদ্ধের মৃতু্যর পর তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসক, ১২ জন নার্স ও তিনজন কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল। তাদেরই একজন পরীক্ষায় 'করোনাভাইরাস পজেটিভ' হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত ওই চিকিৎসক বর্তমানে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন।

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ছয় জেলা / সারাদেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

সোমবার টেলিফোনে তিনি বলেন, "আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষায় নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। শরীর কিছুটা দুর্বল। এখনো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।"

অসুস্থ বোধ করায় রোববার থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ডেল্টা হাসপাতালের পরিচালক ডা. বদিউজ্জামানও।

'গতকাল থেকে আমার কাছেও প্রবলেম মনে হচ্ছে। বাসায় আছি একেবারেই একা। কাউকে সঙ্গে রাখি নাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।'

টোলারবাগের বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ওই চিকিৎসকের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে শনিবার সকাল থেকে। রোববার দুপুরের দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি ডেল্টা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে টোলারবাগের সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৭ জন আক্রান্ত এবং দুজনের মৃতু্যর খবর রোববার জানিয়েছিল আইইডিসিআর।

তবে রাতে টোলারবাগে ৭৬ বছর বয়সি আরেক বৃদ্ধের মৃতু্য হয়, আগের দিন মারা যাওয়া বৃদ্ধের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।

পুলিশের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী রোববার রাতে বলেন, দ্বিতীয় বৃদ্ধেরও করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল বলে আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে আইডিসিআরের বক্তব্য জানা যায়নি।