বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদু্যৎ ও পানির দাম বাড়ানোয় নিন্দা-প্রতিবাদ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিদু্যৎ ও পানির দাম বৃদ্ধি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা অবিলম্বে এই দাম বৃদ্ধির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে নাগরিকদের এ ক্ষোভের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বৃহত্তর সুবিধার জন্য জনগণকে 'কিছুটা চাপ' নিতেই হবে।

বিদু্যতের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম ছয় মাসের ব্যবধানে আরও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।

বিদু্যৎ বিলের সঙ্গে পানির বিল বাড়িয়ে দেওয়ায় বাড়িওয়ালারাও এখন ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি পানির দাম বাড়িয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।

সেখানে বলা হয়, আবাসিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে।

আর বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে।

একইভাবে আবাসিক সংযোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪০ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছে।

অর্থাৎ আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ঢাকায় পানির দাম ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ২৫ শতাংশ বাড়ছে। আর বাণিজ্যিক সংযোগে ঢাকায় ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে পানির।

এর আগে গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয়। সে সময় ঢাকায় আবাসিক সংযোগে পানির দাম বাড়ে ১০ শতাংশের মতো।

ছয় মাসের ব্যবধানে পানির দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার মীর মোকাব্বির হোসেন শুক্রবার বলেন, 'সরকার চুরি বন্ধ করতে পারে না, এর দায় চাপায় সাধারণ মানুষের ওপর।'

মোকাব্বির জানান, আগে তার ছয় তলা বাড়ির জন্য পানির বিল আসত মাসে ১০ হাজার টাকার মতো। এখন তাকে আরও অন্তত আড়াই হাজার টাকা বেশি দিতে হবে।

'এই টাকা আমি দেব কোত্থেকে? আসলে আমাদের চারদিক থেকে শুষে নেওয়া হচ্ছে। তারা যেটা করবে সেটাই মেনে নিতে হবে।'

জাতীয় ভাড়াটিয়া পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, বিদু্যৎ, গ্যাস বা পানি- এই তিন সেবার যেকোনো একটার দাম বাড়লেই বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেন মালিকরা। আর এখন বিদু্যৎ-পানি একসঙ্গে বেড়েছে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- তিন ক্ষেত্রেই বিদু্যতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তাতে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদু্যতের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা মার্চ থেকে তাদের দিতে হবে।

ইয়াসিন বলেন, 'দেখা গেছে পানির বিল বেড়েছে দুই-তিনশ টাকা। বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা। এভাবেই দিনের পর দিন চলে আসছে। যতদিন পর্যন্ত সরকারের চার্ট আকারে ভাড়া না আসে ততদিন এভাবেই চলবে। এ জন্য ইউটিলিটি বিল ভাড়াটেরা আলাদা দেবে, এমন আইন করতে হবে।'

ঢাকা ওয়াসা ভেঙে দুই ভাগ করার সুপারিশ : নাগরিকদের এই ক্ষোভের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বৃহত্তর সুবিধার জন্য জনগণকে 'কিছুটা চাপ' নিতেই হবে।

'বিকল্প কিছু আমাদের ছিল না। দাম না বাড়ালে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকতে পারবে না। দিন দিন এভাবে চললে প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে যাবে। অন্য কোনো জায়গা থেকে ঋণ করতে হবে। আর সামান্য প্রেসার নিলে মানুষ বৃহত্তর অর্থে উপকৃতই হবে। এসব বিষয় চিন্তা করে বাস্তবতার ভিত্তিতেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।'

বাংলাদেশে পানির দাম এখনো পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে কম দাবি করে মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের উৎপাদন খরচ কিন্তু অন্যান্য দেশের মতোই। দাম আরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল, কিন্তু বেশি দাম বাড়ালে মানুষের মধ্যে একটা নেতিবাচক বার্তা যাবে। হিসাব করে দেখেছি পরিবারপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে পানির দাম বাড়বে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে যদি সে নিরাপদ পানি পায় তাহলে তো সমস্যার কিছু নেই।'

গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে : বিদু্যতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে গণপ্রতিরোধ গড়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা না করে সম্পূর্ণ গণবিরোধী এ নিশিরাতের সরকার বিদু্যৎ ও ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখন মন চাচ্ছে গ্যাস-বিদু্যৎ-পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। জনগণকে শোষণ করে আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদু্যতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাণিজ্য মন্দা এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দর পতনের মধ্যেই দেশে সব পর্যায়ে বিদু্যতের পাইকারি ও খুচরা মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ হলো লুটপাট। মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে বছরে দুই হাজার কোটি টাকা লুটে নেবে আওয়ামী সিন্ডিকেট।

তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসকদের আমলে এ নিয়ে ৯ বার বাড়ানো হলো বিদু্যতের দাম। বারবার বিদু্যতের দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। শিল্প মালিকদেরও 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' দশা। দেশীয় শিল্প-কারখানা ধ্বংস করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিদু্যৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা হারাচ্ছে শত শত প্রতিষ্ঠান। গ্যাসের দাম বাড়ানোর মাত্র আট মাসের মাথায় আবার বিদু্যতের দাম বাড়ানো হলো।

'বাড়ানো নয়, কমাতে হবে' : বিদু্যতের দাম বাড়ানো নয়, কমাতে হবে এবং কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে তেল-গ্যাস-বিদু্যৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদু্যৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুলস্নাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর আবারও ২৭ ফেব্রম্নয়ারি সরকারের নির্দেশে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে বিদু্যতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। বিদু্যতের দাম বাড়ানোর গণশুনানিতে প্রদত্ত তথ্য, যুক্তি ও প্রাপ্ত ফলাফলের পরিপন্থি।

'বিদু্যতের দাম বাড়ানোর যুক্তিতে বলা হচ্ছে, দেশে গ্যাস সংকটের কারণে তেলনির্ভর বিদু্যৎ উৎপাদনের ফলে বিদু্যতের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, সে জন্য দাম বাড়াতে হয়েছে। এ বক্তব্য পুরোপুরি অসত্য। কারণ প্রথমত, গ্যাস সংকটের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রীয় কম দামে বিদু্যৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ না করে, বেশি ব্যয়বহুল বিভিন্ন বেসরকারি বিদু্যৎ ব্যবসায়ীদের গ্যাস সরবরাহের কারণে এবং অযৌক্তিকভাবে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি দেওয়ার কারণে বিদু্যৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।'

তেল-গ্যাস-বিদু্যৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, সরকার তার মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি-২০১৬) অনুযায়ী দেশের গ্যাস অনুসন্ধান স্থগিত করে এলএনজি-কয়লা আমদানির পথ ধরেছে, দেশবিনাশী ব্যয়বহুল বিদু্যৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে, ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বিদু্যৎ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।

তারা বলেন, জাতীয় সক্ষমতা বিপর্যস্ত করে সরকার একদিকে সাগরের গ্যাস রপ্তানির বিধান রেখে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে, অন্যদিকে গ্যাস সংকটের অজুহাতে সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প, ভয়ঙ্কর ঝুঁকি ও বিপুল ঋণের রূপপুর প্রকল্পের উদ্যোগ নিচ্ছে।

'তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদু্যৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কম দামে পরিবেশ সম্মতভাবে বিদু্যৎ উৎপাদনের বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থিত করা সত্ত্বেও সরকার তার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদু্যৎ খাতকে ক্রমেই কিছু দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর ডাকাতি ব্যবসার খাতে পরিণত করছে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েই বারবার বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস ও বিদু্যতের দাম।

দাম বৃদ্ধি যুক্তিহীন : বিদু্যৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণাকে যুক্তিহীন ও একপেশে অভিহিত করে বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।

শুক্রবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এ আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, বিভিন্ন গণশুনানিতে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে বিদু্যতের মূল্য কমানোর পক্ষে যেসব যুক্তি ও তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়, তা খন্ডন করতে পারেনি। তারপরও ভোক্তাদের সব যুক্তি অগ্রাহ্য করে তারা গ্রাহক পর্যায়ে ৫.৩ শতাংশ বিদু্যতের দাম বাড়িয়েছে।

'বিদু্যতের আরেক দফা মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর যেমন আর্থিক চাপ তৈরি হবে, তেমনি উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও বেড়ে যাবে। বিশেষ করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে জনজীবনের সংকট বৃদ্ধি করবে।'

দাম বাড়ানোয় গ্রাহকরা হতাশ : গণশুনানি ও গণস্বাক্ষরের মূল্যায়ন না করে বিদু্যতের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকরা হতাশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানানো হয়, প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (কিওঘ) বিদু্যতের পাইকারি দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা খুচরা বিদু্যতের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা। আগামী মার্চ থেকে এ বাড়তি দাম কার্যকর হবে।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিদু্যতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপক্ষে বিইআরসির গণশুনানিতে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে আমরা দাবি করেছিলাম, বিদু্যৎ খাতের দুর্নীতি, অপচয় ও অপব্যয় বন্ধ হলে এবং ক্যাপটিভ বিদু্যৎ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ না দেখলে এর দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। আমাদের দাবি ছিল, বাজারের মূল্য ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদু্যতের মূল্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত থেকে কমিশন সরে আসবে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মতামত নেওয়ার উদ্দেশ্যে সপ্তাহব্যাপী মাঠ পর্যায়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও আমরা পালন করি। যেখানে হাজার হাজার জনতা বিদু্যতের মূল্যবৃদ্ধি না করার পক্ষে গণস্বাক্ষর করেন। এরপরও গতকাল কমিশন বিদু্যতের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষ নিয়েছে।

সরকার সাধারণ নাগরিকদের লাইফ লাইন সুবিধা দেওয়ার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করেছিল তাও ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে উলেস্নখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এতে সাধারণ গ্রাহকদের ২১৭ দশমিক ৫ টাকা বাড়তি দিতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে বিদু্যতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে বাড়বে। এতে একদিকে যেমন রপ্তানি প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে পড়বে। অন্যদিকে দেশে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ও বাড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<90567 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1