আজকের যায়যায়দিন

ফৌজদারি মামলায় কোনো সরকারি কমর্চারীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণ না হওয়া পযর্ন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে অনুমোদন নেয়ার বিধান রেখে বহুল আলোচিত আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কাযার্লয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এই আইনের শিরোনাম আগে ‘সরকারি কমর্চারী আইন’ থাকলেও এখন তা নাম বদলে হয়েছে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘অনেক দিন আলোচনার পর আইনটি আসছে। অনেক বিষয়ই বিধির জন্য রাখা হয়েছে।’

শফিউল বলেন, ‘সরকারি কমর্চারীদের ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষের অনুমতি লাগবে। চাজির্শট গৃহীত হলে আর অনুমোদন নেয়া লাগবে না।’

দুই জেলায় আরও ৩ জনের মৃতু্য / ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাক চাপায় নিহত ১৪

এই আইন পাস হলে দুদক ফঁাদ পেতে কোনো সরকারি কমর্চারীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে কি নাÑএ প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘চাজির্শট পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চাজির্শট হওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে হলে আগে অনুমতি নিতে হবে।’

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০০৬ সালে ‘সিভিল সাভির্স আইন’ নামে গণকমর্চারীদের জন্য আইন তৈরির উদ্যোগ নিলেও সে সময় কোনো খসড়া প্রণয়ন হয়নি।

পরে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার ওই আইনের খসড়া তৈরি করে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারি কমর্চারী আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি কমিটি করে দেয়।

২০১৪ সালের ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ওই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে। ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই প্রস্তাবিত খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর সরকারি কমর্চারী আইনের খসড়া ফের মন্ত্রিসভায় তোলা হলেও তাতে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুশাসন দেয় মন্ত্রিসভা।

পরে জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটি এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় তা খসড়া উপস্থাপন করা হয়।

এরপর প্রস্তাবিত আইনটির কয়েকটি ধারা বিশ্লেষণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি উপ-কমিটি করে দেয় সরকার। গত এপ্রিলে ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সচিব কমিটির সভায় তা অনুমোদন দেয়া হয়।