বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাওনা জমা দিয়েই অতিরিক্ত বিলের আপত্তি জানাতে হবে

হাসান আরিফ
  ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
গ্যাস বিপণনে নতুন নীতিমালা

গ্যাসের অতিরিক্ত বিল সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হলে গ্রাহককে পাওনার সমপরিমাণ টাকা বিইআরসিতে জমা দিয়ে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে। এছাড়া পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের দর নির্ধারণের ক্ষমতা দিলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আপত্তির কারণে তা সরকারের কাছেই থাকছে। নতুন 'গ্যাস বিপণন বিধিমালা ২০১৯' এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকছে বলে জানা গেছে।

গ্যাস ব্যবহারের শুরু থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিতরণ কোম্পানিভিত্তিক প্রণীত নিয়ম অনুযায়ী গ্যাস বিপণন কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে সব বিতরণ কোম্পানির জন্য 'গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি-২০০৪' কার্যকর করা হয়। এরপর অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে 'গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি-২০১৪' তৈরি করা হয়। 'বাংলাদেশ গ্যাস আইন-২০১০' এর ধারা ২৮ অনুসরণে 'গ্যাস বিপণন বিধিমালা-২০১৯' তৈরি করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের সেখানে বিধিতে উলিস্নখিত তফসিলে রেট পেট্রোবাংলা কর্তৃক সময় সময় নির্ধারণ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তাই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আপত্তিতে তা সংশোধন করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। তাই বিধিমালায় এবং বিধিমালার তফসিলে উলিস্নখিত বিভিন্ন রেটের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা কর্তৃক সময় সময় নির্ধারণ বিষয়টি 'সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে' দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিষয়ে গ্রাহকের থেকে বিতরণ কোম্পানির পাওনা বা ইস্যকৃত বিলের ওপর আপত্তি উত্থাপন করতে হলে আপত্তির সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জমা রেখে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে। নিষ্পত্তি অনুযায়ী জমাকৃত অর্থ বিইআরসি কর্তৃপক্ষ তা ফেরৎ দেবে। তবে আপত্তির সমপরিমাণ অর্থ বিইআরসিতে জমার বিষয়ে অর্থের পরিমাণ কম-বেশি করার সুযোগ রাখার জন্য বিবেচনা করা হতে পারে। এছাড়া গ্রাহক শ্রেণি এবং ঠিকাদার শ্রেণি একই অধ্যায়ে না রেখে অন্য কোনো অধ্যায়ে নেওয়া যায় কি না কমিটি পর্যায়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, বিধিমালা চূড়ান্ত করার আগে, গ্যাস বিপণন বিধিমালা, ২০১৯' এর সাথে বিইআরসির নিয়মাবলি যাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ/সাংঘর্ষিক না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। 'গ্যাস বিপণন বিধিমালা, ২০১৯-এর পরিবর্তে 'গ্যাস (বিপণন) বিধিমালা, ২০১৯' নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া গঠিত কমিটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মতামত ও সুপারিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্যাস বিপণন বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য বলা হয়েছে। এবং অপ্রয়োজনীয় সংজ্ঞা বিধি থেকে বাদ দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির অভিন্ন মিটার কার্ড এর নমুনা এই বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত রাখা হতে পারে। তাছাড়া মিটার রিডিং গ্রহণ কারার সময়ও পরিদর্শন করা যেতে পারে। তাই মিটার রিডিং এবং পরিদর্শন দুটিকে আলাদা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, এ বিধিমালায় মোট ১২টি অধ্যায়, ৬৩টি বিধি এবং ১৫টি তফসিল রয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ প্রদান, অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা, অবৈধ ব্যবহার ও অপচয় রোধের সুবিধার্থে ৭৯টি পারিভাষিক সংজ্ঞা এবং বিইআরসি কর্তৃক যেসব নিয়ম আছে, সেগুলোও এ বিধিমালার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের উপসচিব জিএম, আতিকুর রহমান জামালী বলেন, গ্যাস আইন ২০১০ এর ২৮নং ধারায় বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গ্যাস বিপণন বিধিমালা, ২০১৯ এর শিরোনাম আংশিক পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। তাই এ পরিবর্তন করে বিধিমালাটিকে গ্যাস (বিপণন) বিধিমালা, ২০১৯ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, তিনি গ্যাস বিপণন বিধিমালা ২০১৯ এর খসড়ার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একমত পোষণ করেছে। তবে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেশকিছু সুপারিশ ও মতামত দিয়েছে। তাই যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খসড়া নীতিমালার ওপর লিখিত মতামত বা সুপারিশ দিয়েছে তাদের কোনো মতামত বা সুপারিশ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে। আর এখনো যদি কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মতামত বা সুপারিশ দিতে চায় তাহলে লিখিতভাবে মতামত বা সুপারিশ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<84195 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1