বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ

আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মার শান্তি-ঐক্য কামনা

আখেরি মোনাজাতের সময় 'আমিন, আলস্নাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখরিত হয়ে ওঠে। এ সময় আলস্নাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসলিস্ন আকুতি জানান
আবুল হোসেন, গাজীপুর/রেজাউল করিম রাজিব, টঙ্গী
  ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
লাখো মুসলিস্নর অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব -যাযাদি

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হলো তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতের সময় 'আমিন, আলস্নাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখতির হয়ে ওঠে। আলস্নাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসলিস্ন আকুতি জানান। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ।

বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। যে যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসেছিলেন সেখান থেকে হাত তোলেন আলস্নাহর দরবারে। অনেকে কান্নায় বুক ভাসান। ৩৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জোবায়ের আহমেদ প্রথম ১৮ মিনিট মূলত পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ২০ মিনিট দোয়া করেন বাংলা ভাষায়। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আলস্নাহর দরবারে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুরসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।

সকালে বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মুসলিস্নদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে। দিলিস্নর মাওলানা সা'দ অনুসারীদের নিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি, শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি।

রোববার সকালে ইজতেমা ময়দানের চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসলিস্ন হেঁটেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমাস্থলে ও আশপাশে পৌঁছেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠের আশপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মুসলিস্নরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। রোববার ভোর থেকেই ফজরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের জন্য পুরানো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসলিস্নরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায় সে দিকেই দেখা যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ। সবাই অপেক্ষায় আছেন কখন শুরু হবে সেই কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত। ইজতেমাস্থলের চারপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিলধারণের ঠাঁই ছিল না।

মোনাজাতে যা বলা হয়: হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ মোনাজাতে বলেন, হে আলস্নাহ তুমি তো ক্ষমাশীল, তোমার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইব। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দাও। হে আলস্নাহ, তুমি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আমরা যেন তোমার সন্তুষ্টি মাফিক চলতে পারি সে তওফিক দাও। দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে আমাদের হেফাজত করো। নবীওয়ালা জিন্দেগি আমাদের নসিব করো। ইজতেমাকে কবুল করো। ইজতেমার আয়োজনে যারা শ্রম দিয়েছেন তাদের কবুল করো। যারা তোমার কাছে হাত তুলেছেন সবাইকে তুমি কবুল করো। ইজতেমার বক্তা ও শ্রোতা সবাইকে তুমি কবুল করো। দাওয়াতে তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত করো। হে আলস্নাহ আমাদের ঈমানকে মজবুত করে দাও, আমাদের সবার মাঝে মানবতা বৃদ্ধি করে দাও, হে আলস্নাহ আমাদের আখলাক হেফাজত করার তৌফিক দান করো, হে আলস্নাহ শয়তানের ধোঁকা থেকে আমাদের হেফাজত করো, হে আলস্নাহ আমাদের নবীর সাফায়াত নসীব করো।'

মুসলিস্নদের বাঁধভাঙা জোয়ার: বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা তো ছিলেনই, শুধু আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নরা ছুটে আসতে থাকেন শনিবার থেকেই। বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারে করে এসে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে শীত, কুয়াশা ও নানা ঝক্কিঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখো হন। রাজধানী ঢাকার সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই ছিল পূর্ণ ছুটির আমেজ। এর আগে রোববার ভোর থেকে টঙ্গীমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ কিংবা আশপাশের বাসাবাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ কিংবা করিডোর, সড়কের পাশে ফুটপাতে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন। সকাল ৮টার মধ্যে গোটা এলাকা জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হয়।

২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা: ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ইজতেমা আয়োজক কমিটির শুরার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ তারিখ ঘোষণা করা হয়। ইজতেমার প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে মাইকে এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।

ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, ২০২১ সালে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রথম ধাপ হবে ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি। আর জোড় ইজতেমা হবে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মোনাজাতে অতিরিক্ত মাইকের ব্যবস্থা: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ইজতেমা ময়দান থেকে আবদুলস্নাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগআলী, টঙ্গী রেলস্টেশন, স্টেশন রোড থেকে শহীদ আহসান উলস্নাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগ দেওয়া হয়।

ভিআইপিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ: বিশ্ব ইজতেমার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. মনজুর রহমান জানান, বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসলিস্নর সঙ্গে ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের ডিসি এসএম তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

হেদায়েতি বয়ানে যা বলা হয়: পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক হেদায়েতি বয়ানে বলেন, দুনিয়া দুনিয়ার জায়গায় থাকবে। আখিরাতে দুনিয়ার কোনো সম্পদ কাজে লাগবে না। শুধু দ্বীন ও আমলই কাজে লাগবে। আলস্নাহ সব সময় ডাকছেন বান্দারা তার কাছে কিছু চাক। আলস্নাহ বান্দাদের দেয়ার জন্য সব সময় তাকে ডাকার অপেক্ষায় থাকেন। কখন বান্দা তার কাছে চাইবেন। যেমনটি ভিক্ষুক না পাওয়া পর্যন্ত চাইতেই থাকেন। বয়ানে আরও বলা হয়, দুনিয়ার চেয়ে আখেরাতের প্রতি আমাদের বেশি করে খেয়াল রাখতে হবে। দুনিয়ার জিন্দেগির চেয়ে আখেরাতের জিন্দেগি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী। আমাদের ওপর বৃষ্টির ফোটার মতো পেরেশানি ধেয়ে আসছে। এ পেরেশানি থেকে রক্ষার জন্য আমাদের ঈমানি শক্তিকে আরও মজবুত করতে হবে। ধাবিত হতে হবে আখেরাতের দীর্ঘ জিন্দেগির দিকে। আলস্নাহ তার বান্দাদের দ্বীনের কাজে রাস্তায় বের হতে হুকুম দিয়েছেন। সকলকে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার কথা বলেছেন।

বিদেশি মেহমান ২ হাজার ১১৪ : গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. মনজুর রহমান জানান, এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়াসহ ৭৩টি দেশের তাবলিগ জামাতের ২ হাজার ১১৪ জন বিদেশি মেহমান এবারের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি মেহমান আগমন করেন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিদেশি মুসলিস্নর সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল।

টেলিভিশন-মুঠোফোন ও ওয়্যারলেস সেটে মোনাজাত: ইজতেমা মাঠে না এসেও মোনাজাতের সময় হাত তুলেছেন অসংখ্য মানুষ। ইজতেমা ময়দান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মাঠ এলাকায় ওয়্যারলেস সেটে ও মুঠোফোনের মাধ্যমে মোনাজাত প্রচার করা হয়। এসব স্থানে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। আবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করার কারণে অনেকে বাসায় বসে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমায় আরও ৩ মুসলিস্নর মৃতু্য: বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শনিবার রাতে আরও তিন মুসলিস্ন মৃতু্যবরণ করেছেন। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার গুচিহাটা গ্রামের নুর ইসলাম (৫৫) তিনি শনিবার বিকাল সোয়া ৫টায় মারা যান, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাব্রাম এলাকার আলী আহমদ (৬০) শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার আব্দুল মোমিন (৫৫) মারা যান রাত পৌনে একটায়। বিশ্ব ইজতেমার পুলিশের কন্ট্রোল রুম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় গত চার দিনে ১২ মুসলিস্নর মৃতু্য হয়েছে।

ইজতেমায় নারীদের অংশগ্রহণ: ইজতেমায় নারীদের অংশ নেওয়ার কোনো বিধান না থাকলেও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সী কয়েক হাজার মহিলা মুসলিস্নও আগের দিন রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসাবাড়িতে ও বিভিন্ন দালানের ছাদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।

আখেরি মোনাজাতের ফজিলত লাভের আশায় তারা মোনাজাতে শরিক হতেই ময়দানের আশপাশের এলাকায় পর্দার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানালেন কয়েকজন নারী।

চিকিৎসা সেবা : গাজীপুর সিভিল সার্জন মো. খারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসলিস্নদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করছে। এবার প্রায় ৫০টি স্বেচ্ছাসেবী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেছে। বিশ্ব ইজতেমার ৪ দিনে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল এবং তাদের ইজতেমা মাঠে স্থাপিত চারটি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ১০ হাজার মুসলিস্ন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর বাইরেও বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পে আরও কয়েক হাজার মুসলিস্ন চিকিৎসা নিয়েছেন।

মোনাজাত শেষে যানজট ও জনজট: গাজীপুর মহানগর (ট্রাফিক) পুলিশের সহকারী কমিশনার তোয়াই অং প্রম্ন মারমা জানান, আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করে। এ সময় তারা আগে যাওয়ার জন্য যেন প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। এতে টঙ্গীর কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের আহসান উলস্নাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের সড়ক-মহাসড়ক এবং সংযোগ সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জনজট ও যানজট। তবে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলে।

গাজীপুর ও টঙ্গীর সকল কারখানায় ছুটি: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে গাজীপুর ও টঙ্গীর সকল কারখানায় ছুটি ছিল। ফলে এবার এসব কারখানার শ্রমিকদের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার প্রচলন: ইজতেমার মুরুব্বিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে