শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রশাসনে আবার বড় রদবদল

নতুনধারা
  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

শিক্ষা প্রশাসনে ফের রদবদল করা হলো। শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বাংলা কলেজের উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে ১১জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে শিক্ষা ক্যাডারে ১১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। যার মধ্যে বদলি হয়ে আসার ৬ মাসের মধ্যে ফের বদলি হয়েছেন এমন কর্মকর্তাও রয়েছেন। তবে প্রশাসনের এখনও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে দুর্নীতিবাজ, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত, টাকার বিনিময়ে স্কুল-কলেজের স্বীকৃতি, মন্ত্রণালয়কে পাস কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার

পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানকে সিলেটের এমসি কলেজে, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আবুল বাশারকে সিলেটের সরকারি কলেজ, নায়েমের উপ-পরিচালক মাসুদা বেগমকে কুমিলস্নার ভিক্টোরিয়া কলেজ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মুহাম্মদ নাজমুল হককে টঙ্গী সরকারি কলেজ, শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে কবি নজরুল কলেজের সংযুক্ত, কলেজ-১ শাখার সহকারী পরিচালক এ কে এম মাসুদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, বাঙলা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলামকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। মাউশির মাধ্যমিকের পরিচালক হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঢাকা কলেজের অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক রুপক রায়, কলেজ-১ এ সেসিপের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে।

এসব কর্মকর্তার মধ্যে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন সম্প্রতি এ পদে বদলি হয়ে আসেন। দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি একজন মহিলা কর্মকর্তাকে মাউশি থেকে বদলি করা হয়। ওই কর্মকর্তা জাকিরের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের একটি কথিত অভিযোগ দেয়ার পর মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিলেন নায়েমের উপ-পরিচালক মাসুদা বেগম। তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে প্রেষণে কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পুরান ঢাকার আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি থাকাকালে আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ ছিল মাসুদার বিরুদ্ধে। নিজের মেয়ের ফল পরিবর্তন করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তাকে কুমিলস্না বদলি করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে নায়েমে বদলি হয়ে আসেন। এছাড়াও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তা তদন্তাধীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<78546 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1