শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ৪ ক্লাবে র‌্যাব-পুলিশের অভিযান

বগুড়ায় আটক ১৫
যাযাদি ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
চট্টগ্রামে চার ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র?্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। বগুড়ার টাউন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্লাবের সম্পাদকসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামের তিনটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে র?্যাব জানিয়েছে, এসব ক্লাবে জুয়ার আসর বসত। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। তিনটি ক্লাব থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র?্যাব। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নগরের সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি রোড এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ চট্টগ্রাম, সদরঘাট খাদ্যগুদামসংলগ্ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও
হালিশহরে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।
এ দিকে রাতে নগরের আসকার দিঘী এলাকায় ফ্রেন্ডস ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) নোবেল চাকমা জানান, ক্লাবটিতে তাস ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।
ভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র?্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ তল্লাশি শেষে রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ক্লাবগুলোতে জুয়া খেলা চলত, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। জুয়া খেলার চিপ, কার্ড, খাতাপত্র পাওয়া গেছে। কিছু টেবিল পাওয়া গেছে জুয়ার আসরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র?্যাবের অভিযানের কথা টের পেয়ে সেখান থেকে সবাই চলে যায়। ক্লাবটি পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদকম-লীর সদস্য হারুন-আর-রসিদ। আর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।
রাতে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লাবের ভেতর থেকে দুটি ধারালো অস্ত্র, জুয়া খেলার ক্যাসিনো, খাতাপত্র উদ্ধার করে টেবিলে রেখেছে র?্যাব সদস্যরা। ক্লাবটিতে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। র?্যাব আসার খবর পেয়ে মেঝেতে থাকা কার্পেট তুলে সেখানে পানি ঢেলে রাখা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষের ভেতর থাকা টেবিলগুলো বাইরে রাখা হয়েছে। ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী র?্যাবকে তালা খুলে দেন। ঢাকায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কেউ আসছে না ক্লাবে। আধা কিলোমিটার দূরে সদরঘাটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে গিয়ে দেখা গেছে জুয়া খেলার জন্য টেবিলগুলোতে তাস, গুটি ও খাতাপত্র রয়েছে। ক্লাবটিতে চারটি কক্ষ রয়েছে। ভেতরে কেউ নেই।
নিরাপত্তাকর্মী মো. শহীদুল্লাহ বলেন, দুদিন করে ক্লাবে কেউ আসে না। আগে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজন থাকত। সেই সময় জুয়া, মদ চলত কিনা প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি তিনি। র?্যাবের অভিযান দলটি নগরের হালিশহরে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের হাং আউট নামের একটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ২৭ জনকে আটক করে। যাচাই-বাছাই করে ২৫ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। জুয়া আইনে করা মামলায় ওই ক্লাব মালিকের ছেলে খলিকুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখানে অনুমতি ছাড়া পুল ও স্নুকার খেলা হতো।
বগুড়ার টাউন ক্লাবে অভিযান
বগুড়ার টাউন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ জন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথার টেম্পল রোডে ঐতিহ্যবাহী টাউন ক্লাবে এ অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৯টায় ক্লাবে তালা দেয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা ও এসআই রহিম উদ্দিন জানান, শহরের সাতমাথায় টাউন ক্লাবে জুয়া খেলা চলছে, গোপনে এমন খবর পেয়ে ওই ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা পালানোর চেষ্টা করেন।
সেখান থেকে জুয়ার সরঞ্জাম ও নগদ এক হাজার ৬০০ টাকাসহ ১৪ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুয়া পরিচালনার অভিযোগে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম কামালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে অনেক রাঘববোয়াল টাকাসহ পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে