বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
সাত দেহরক্ষীর চারদিনের রিমান্ড

শামীম-ফিরোজকে ১০ দিন করে রিমান্ড

জি কে শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার মুরাদ, জাহিদুল, সহিদুল, কামাল সামসাদ ও আমিনুলকে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত
যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যুবলীগ নেতা জি কে শামীম এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

এর মধ্যে জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন এবং মাদক মামলায় পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এ ছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে।

সাত দেহরক্ষী হলেন দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

শনিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জি কে শামীমের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ১৪ দিন এবং সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার পৃথক পৃথক রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর ২-৫৫ মিনিটে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত বডিগার্ডকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করের্ যাব।

গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. সাদেক জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ে তিনটি মামলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করের্ যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপর এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি এবং ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।

চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ থাকায় রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা শামীমকে ধরতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সাদা পোশাকে শুরু হয় র?্যাবের অভিযান। বিকাল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষে শামীমসহ আটজনকে আটক করার কথা জানায় র?্যাব।

র্

যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ের্ যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।

সারওয়ার আলম বলেন, তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে, যদিও তার মা বড় কোনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বাকি টাকা উনার নামে। ব্যবসায়ী হিসেবে নগদ টাকা থাকতেও পারে। তবে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মাদক পাওয়া গেছে, যেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি তার নগদ টাকা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। এটা তিনি কোর্টের সামনে প্রমাণ করবেন।

অস্ত্রের বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<67893 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1