বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাব্বানীকে 'প্রটোকল' দিতে না যাওয়ায় হলের কক্ষে তালা

নতুনধারা
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে 'প্রটোকল' দিতে কিছু শিক্ষার্থী মধুর ক্যান্টিনে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের চারটি কক্ষে তালা দিয়ে দেয় সেখানকার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলে এ ঘটনা ঘটে।

আবাসন-সংকটের কারণে হলে বৈধ আসন না থাকায় দ্বিতীয় বর্ষের ৩২ জন শিক্ষার্থী ওই চারটি গণরুমে থাকেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিষয়টি জানার পর তারই হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশের এক দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল। গত শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভের অন্যতম কারণ ছিল মধুর ক্যান্টিনে তাদের অনিয়মিত থাকা। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মধুর ক্যান্টিনে যান।

সূর্য সেন হলের তালা দেয়া কক্ষগুলোর কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাখাটির আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সৈয়দ শরিফুল

আলম ওরফে শপু এই হলে গোলাম রাব্বানী গ্রম্নপের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গ্রম্নপে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের 'ভালো' কক্ষে তুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। তার আশ্বাসের কোনো প্রতিফলন না দেখে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রোববার দুপুরে গোলাম রাব্বানী মধুর ক্যান্টিনে এলে তাকে 'প্রটোকল' দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ডেকে পাঠান শরিফুল। কিন্তু চার কক্ষের ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন সেখানে যান।

ভুক্তভোগী এসব শিক্ষার্থী সূর্য সেন হলের চারটি কক্ষে থাকেন। কক্ষগুলো হলো ২৩৭, ২৪৮, ৪০১ (ক) ও ৬২৬ (ক)। কক্ষগুলোয় যথাক্রমে ৬, ৮, ৮ ও ১০ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টায় হলের অতিথিকক্ষে শরিফুল ডেকে পাঠালেও সেখানে যাননি তারা। তাই রাত ১০টার পর কক্ষগুলোয় গ্রম্নপের তৃতীয় বর্ষের কর্মীদের দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন তিনি।

জানতে চাইলে সৈয়দ শরিফুল আলম ওই চার কক্ষে তালা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তালা দেয়ার ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে তিনি বলেন, 'ওদের ইমিডিয়েট সিনিয়ররা (তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী) কক্ষগুলোয় তালা দিয়েছিল। কিন্তু কেন তালা দেয়া হয়েছিল, জানি না।'

ডাকসুর জিএস ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রোববার মধ্যরাতে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রম্নত বিষয়টির সমাধান করছেন। পরে তার হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<66259 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1