শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয় দিবসের আগেই আইডি কার্ড পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

আগামী বিজয় দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করে আইডি কার্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা ঈদ বোনাস ছাড়াও, বিজয় দিবসের বোনাস ও স্বাধীনতা দিবসের বোনাস পাবেন। মুক্তিযোদ্ধারা শুধু পাবে, আর কেউ পাবে না। এছাড়া চিকিৎসার জন্য সব সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ ব্যয় ভার বহন করা হবে। সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের হবে। অন্য ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধাদের কবর কী ডিজাইন হবে তাও আমরা বলেছি।'

'বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। যেসব স্থানে আমরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেসব স্থানে স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে। যত জায়গায় বধ্যভূমি আছে সেসব জায়গায় অন্য নকশায় স্মৃতিফলক হবে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেক সড়কের নামকরণ করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। এছাড়া আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর তৈরি করার জন্য ১৫ লাখ টাকা সরকার থেকে অনুমোদন দেয়া হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়ে গেছে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বরের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং আইডি কার্ড দেয়া হবে। তাদের আইডি কার্ডে লেখা থাকবে তারা কী কী সুবিধা পাবেন।'

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার করেছি। কিন্তু যারা হুকুম দিয়েছে তাদের বিচার হয় নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন বিমানবন্দরে মাঝে মাঝে সোনা চোরাচালান ধরা পড়ে। কারা ধরা পড়ে? যারা পড়াশোনা না জানা লোক শুধু তারাই ধরা পড়ে। দুবাই থেকে ঢাকায় যাদের নামে পাঠায় তারা কি কোনোদিন ধরা পড়ছে, ধরা পড়ে নাই। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়নি।'

'১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি দূতাবাস, আমেরিকান দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি। খুনি না হলে, আত্মস্বীকৃত খুনি যারা ছিল তাদের বিদেশে পাঠিয়ে বড় বড় পদে পদায়ন করতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের জাতের বিচার না হয় এর জন্য 'ইনডেমনিটি' অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের রাস্তা বন্ধ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন, সে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ বাদ দিয়ে আবার সেই পাকিস্তানি কায়দায় ধর্মীয় রাজনীতি সে চালু করে।

পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দেয়। জামাত ইসলামের অনুমতি দেয়। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, সে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের ইন্টারভিউতে বলে গেছে, জিয়ার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল। এজন্য ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে এবং বিশ্ববাসীর সামনে এদের বিচার করতে হবে। এটা আজকের সময়ের দাবি। না হয় বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি পাবে না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পন্ন করব।'

মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন সভাপতি গাজী মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<63745 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1