দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত সব ধরনের মামলা এখন থেকে থানার পরিবর্তে সংস্থাটির ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা হবে।
রোববার দুদক আইনের সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে দুদক আইন-২০০৪ সালে পাস হওয়ার পর ২০০৭ সালে এর বিধিমালা হয়।
দুদক আইনের এই বিধিমালা সংশোধনের পর কেউ যদি থানায় দুর্নীতির অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে পুলিশ তা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করবে। পরবর্তীতে তা অনুসন্ধানের জন্য দুদকে পাঠাবে।
শুধু তাই নয়, দুদক চাইলে গুরুত্ব বিবেচনায় যেকোনো অভিযোগ অনুসন্ধান না করে সরাসরি মামলাও করতে পারবে।
সংশোধিত বিধিমালায় আরও উলেস্নখ করা হয়, করদাতার আয়কর রিটার্ন ফাইল ও ব্যাংক হিসাব সরাসরি তলব করতে পারবে দুদক।
এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হওয়ার আগেও অভিযোগ পাওয়া 'দুর্নীতিবাজের' সম্পদ ক্রোক বা জব্দ করা যাবে। আর দুদকের অনুসন্ধান-সংক্রান্ত বিদ্যমান সময়সীমা ১৫ দিনের পরিবর্তে ৪৫ দিন করা হয়েছে এই বিধিমালায়।
অন্যদিকে দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না দিয়ে সরাসরি বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা যাবে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, 'দুদক আইনের বিধিমালা সংশোধনের ফলে কোনো মামলা দায়ের করতে থানায় যেতে হবে না। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের স্বকীয়তা আরও বিকশিত হবে। কমিশনের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।'
তিনি জানান, দুদকের সমন্বিত ২২টি কার্যালয়ে এসব মামলা করা হবে। তবে সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয় এবং আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ে কোনো মামলা দায়ের করা হবে না।