আজকের যায়যায়দিন

২০১৮ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ। ফলে দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। ওই বছর পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ২২ লাখ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ।

বুধবার বিকালে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো (বিবিএস)। 'রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০১৮ : মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) (দ্বিতীয় পর্যায় 'প্রকল্পের ফলে এ তথ্য উলেস্নখ করা হয়। আদমশুমারির মধ্যবর্তী অবস্থা তুলে ধরতে এ প্রকল্প নেয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ২০১৪ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৬৮ লাখ, ২০১৫ সালে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ, ২০১৬-তে ১৬ কোটি ৮ লাখ এবং ২০১৭-তে ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বা ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮-তে বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ।

ওই বছরের জনসংখ্যায় শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছরের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়।

হাসিনা-থাভিসিন বৈঠক / বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ২০১৮ সালে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের তুলনায় .০১ শতাংশ কমেছে বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

দেশে গড় আয়ু ৭২.৩

বিগত বছরের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর আর নারী ৭৩ দশমিক ৮ বছর। ফলে পুরুষের থেকে নারীরা গড়ে তিন বছর বেশি বাঁচে।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর ছিল। এছাড়া ২০১৬ সালে ৭১.৬, ২০১৫ সালে ৭০.৯, ২০১৪ সালে গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৭ বছর।

\হ২০১৩ সালে গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৪ বছর। ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৮ বছর।

অনুষ্ঠানে এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভোগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি।

প্রতি বছর বিবিএস ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে থাকে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবনের জন্ম, মৃতু্য, আয়ুষ্কাল, বিবাহের মতো অবধারিত বিষয়ের চিত্র উঠে আসে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।